উৎসর্গঃ কয়েক সপ্তাহ আগে হরতালের সময় পুলিশের এলো পাথারি গুলিতে চট্টগ্রামে মায়ের সা্থে রেলিংয়ে দাঁড়ানো এক অবোধ শিশু এবং উত্তর বঙ্গে এক অবোধ বালিকা গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। এহেন ঘটনার তীব্র নিন্দা, সেই শিশুদ্বয়ের আত্মার মাগফেরাত কামনা ও তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপনে।


এই গাঁয়ের সেই দস্যি মেয়ে আজকে কোথায় হায়
তার সে চপল নূপুর ধ্বনি আর ওঠে না গাঁয়।


আম কাঁঠালের বনের ধারে ধেনু চড়া মাঠে
সারাটা দিন কাটিয়ে দিত রাখাল ছেলের সাথে
কত বকা নিতুই বকত আদরিনী মায়
তার সে গানের দরাজ গলা আর ওঠে না
দোলন চাঁপা উদাস বুনো বায়।


দীঘির ঘাটে নদীর জলে কেবল দস্যি খেলা
ঢেউয়ের মুখে উজিয়ে যেত ভাসিয়ে কলার ভেলা
নাওয়া খাওয়া করত না সে নিয়ম নীতি মত
গাঁয়ের লোকের হাজার কথা তার কি কানে যেত
গাছে চড়া চালে ওঠা দস্যি হানা কুলেরই শাখায়।


চাঁদনী রাতে চটুল হাতে ফুল কুঁড়িয়ে এনে
সাথীদেরে পড়িয়ে দিতে বিনুনিতে বিনে
গল্পে আসর জমিতে নিত চৈতি আঙিনায়
সারা পাড়া ঘুমিয়ে গেলেও তার কী ঘুম আর হত
বইচি বাগান জামের ঘ্রাণ ঘুম কেড়ে তার নিত
বেতস বনে আপন মনে বকের ছানা লুকিয়ে যেথা বয়।


রাক্ষসিনীর হিংস্র বুলেট কেড়ে নিল সেই সে সম্ভাবনা
তার অভাবে নীরব এখন গাঁয়ের আঙিনা
এমনি করে আর কত কাল হারাবে মা বুকের লক্ষী সোনা
এখনো কী গাঁয়ের লোকের ঘুম ভাঙ্গিবে না?
জাগো রে দেশবাসী! ডাইনী তাড়ানোর এই তো সময়।