বিশ্রী রকম সামাজিক ক্ষয়িষ্ণু রোগের
এক রোগী আমি।
প্রেম প্রীতি ভালবাসা বিদ্যা বুদ্ধি বিবেক
মানবতা বোধ এমন কী ধর্মের তন্ত্রীগুলোতেও
ভীষণ এক রকম ক্ষয় ধরেছে আমার।
আমি শ্বাসরুদ্ধকর ভয়ঙ্কর এ সমাজের
এক সামাজিক রোগী।


সংক্রামক রোগাক্রান্ত সমাজের দূষিত বাতাস
আমাকে ছুঁয়ে যায় প্রতিনিয়ত
ছুঁয়ে যায় দেহ মন দু’ই
অসুস্থ করে তোলে ক্রমাগত
তেত্রিশ বছরে গড়ে ওঠা যুবক শরীর।
ঝার ফুক তাবিজ কবজ শিরনি প্রসাদ
সাধুর দরশন হুজুরের সাক্ষাৎ
প্রনয় বচন প্রেমালাপ
কিছুতেই হয় না আর উপশম।


গড়ের বাতাস ঘরের আশ্বাস
মসজিদ মন্দির গির্জার বিশ্বাস
চাঁদের আলো সাধের আকাশ
বনের ছায়া ফুলের সুবাশ
সব কিছুতেই এখন কেমন যেনো
এক তিক্ত তিক্ত ভাব
ভক্তির অভাব
দিনে দিনে গভীরতর।


যদি মনে কর
এ শুধুই একার আমার
আমাকে না ছুঁইলেই সমাধান সব সমস্যার।
তাহলে বুঝে নিব, কিযেন অভাব তোমার
সমাজের ভিতরকার অন্ধকার
মহামারি ক্ষয়িষ্ণু রোগজীবাণু চেনার
আর নিজেরে ভাল করে দেখার।


আরো জেনে রাখো,
আমারে এমনি করে খাওয়া হলে শেষ
তোমা্রেও খাবে বেশ, তারপর সারা দেশ।