যারা আমাকে অতি আপন ভাবে অথচ সময়ের অভাবে আমি তাঁদের মূল্যবান লেখাগুলো পড়তে এবং মন্তব্যের ঘরে মতামত রাখতে এমন কি আমার ঘরে রাখা তাঁদের মুল্যবান মতামতের সামান্যতম উত্তরও দিতে পারি না। তারপরেও তাঁরা আমাকে দিনের পর দিন নিরবিচ্ছিন্ন ভালোবাসা এবং আমার সর্বাঙ্গীণ মঙ্গল কামনা করে যাচ্ছেন। সে সব হৃদয়বানদের চরণে। বিশেষ করে সুবীর কাস্মির পেরেরা, অরুণ কারফা, সরকার মুনীর, মোহাম্মাদ আজিজুল হক রাসেল, মহিউদ্দিন হেলাল, এ বি এম সাব্বির, সাইদুর রহমান, পলাশ, মোঃ আরিফুর রহমান (ডিজিটাল কবি), কবীর হুমায়ূন, ইনসিগনিয়া (অভি), রুম্পা শিমুল, জোহরা উম্মে হাসান, ফারহানা শারমীন, প্রণব মজুমদার প্রমুখ। আর এমনও আছেন যাঁদের আমি ভালবাসি। কিন্তু আমার প্রতি তাঁদের নজর দেবার সময় খুবই কম। তাঁদের চরণেও।
--------------------------------
কোন দূর প্রান্তরে জোছনার দিগন্তরে
একা বসে বংশীওয়ালা
তোলে সুর গীতধ্বনি
চিত মধুর বংশীখানি
এমন অগাধ রজনী ঘুমের ধরণী বেলা!


তারাদের পথে পথে মেঘেদের রথে রথে
নীহারিকা বিহারিকা রাতের জগতে
সে সুর পড়ে লুটে-
পাতা পুষ্প লতার শরীর
ছায়া বিথি অরন্য কবরী শর্বরীর
আরো নিভিড় আরো গভীর
আরো ছবির মত দোলে।
খোলা বাতায়ন ব্যজনী সমীরণ
ইন্দ্রজালিক সুরের ক্ষরণ
তন্দ্রা দোলানো মন
আরো আরো আত্মভোলা করে তোলে।


মাঠ নদী পার হয়ে সারা নিশি ভার হয়ে
দূর দূরান্তের পশে সে সুরখানি-
পারাপার বালু তট, ঝর্ণা গিরি বুনবট
ঝাঁউ শিরিষ মিনার মঠ
আরো দূর আরো দূর রাত্রির চিত্রপট
একাকার একাকার করে
বেহুল বাতাসে আত্মার ভিতরে ঝুরে
লুটে পড়ে তারি দূরাগত ধ্বনি প্রতিধ্বনি।


কোন দূর পাহাড় চুটিকায় বসি
বংশীওয়লা তোলে মায়ার বাঁশি
তারি পরশ লোকালয় আসি
জাগায় ঘুমের বধূরে।
যে ছিলো ঘুমে
রক্ত কপোল চুমে
সোনার সংসার সুখ পালঙ্কে মধুরে!


আহ! আমি যদি কভু পাই সেই বংশীওয়ালা
তাঁর মায়ার বংশীখানি
দু’হাতে জড়িয়ে বুকে নেব টানি
পরাণের মাঝে রাখিয়া পরাণখানি
উজার করে শোনাব বুকের যত কথা
এত কালের যত ক্ষত যত ব্যথা
পাশরিব গো তাঁরে বুকে চেপে ধরে।
বলে দে সই, সেই বংশীওয়ালা
বংশীখানি লয়ে থাকে কোন দূর দেশে
কোন সুদূর পাহাড় চুটিকা ‘পরে?