আমি এখন যত্রতত্রই আতকে উঠি
মানুষের ছায়া দেখে অবাক হই
এড়িয়ে পালাবার পথ খুঁজি!


মাঠ ঘাট শহর বন্দর মসজিদ মন্দির
গির্জা প্যাগোডা যেথাই যাই
চোখ খোলেই দেখতে পাই
অধিকাংশ মানুষের ছায়ার পিছনে ছায়া
মুখোশের অন্তরালে লুকানো মুখ
কী বীভৎস বিৎঘুটে সে সব রূপ
ঢেকে আছে সাধারণ ছায়া আর মুখোশের নীচে।


অনেকের ছায়া আর মুখোশে্র পিছনে লুকানো যে রূপ
বড় বড় হিংস্র প্রাণীর রূপের সাথে মিল আছে খুব।
অনেক সাধু-সন্যাসী ভিখুর পোশাকের পশ্চাতে
নিশ্চুপ নিপুণ সাঁজে ওত পেতে আছে
বড় বড় রক্তচোষা রাক্ষুসী পিশাচী মুখ
অদ্ভুত অদ্ভুত নেকড়ে থাবা
সুকৌশলী শিকারী লেজের বাহার
উপবেশন উপশোষণ বিশ্রাম আহার
সব কিছুতেই নরখাদক নারীখাদক রক্ত সাধক
কুমির সর্পিল হিংস্র জানোয়ারের ভীষণ মিল।


বিশ্বাস করুন! আমার এ চল্লিশ বছরের জীবন
নানা অভিজ্ঞতা আর বিবেক থেকেই বলছি
আপনারা একটু ভাল কের চেয়ে দেখুন
কিছু কিছু মানুষের ছায়ার পিছনের ছায়া
মানুষ নামের খোলসে ঢাকা মানুষ
স্বরূপ আর ভোগ বিলাসে  
অমানুষ ন-মানুষ হিংস্র জীবের সাথে
কত মিল!


বিশ্বাস না হয় তো নিজেরাই একবার
আয়নার কাছে বিবেকের পাশে দাঁড়িয়ে
নকল পোশাকটা একটু নামিয়ে
ভাল করে দেখুন!
এত দিন পোশাক-মেকআপে ঢেকেছিলো যে
কৌশলের কৌটায় লুকানো যে বিবেকের ঘুণ
রক্তের মাঝে মানবতার ভাঁজে
লোভ আর হিংসার আগুন
কথা কর্মে জমানো যে পাপের ফাগুন
সারা অঙ্গ সারা দেহে জড়িয়ে ছড়িয়ে আছে
তাতে সত্যিকার মানুষের অংশ কতটুকুন?


ভাবুন! বিবেকের সাথে যুদ্ধ করে
আরেকবার ভাল করে ভাবুন!
সতর্কতার স্লাইডে নিজেকে দেখুন!
প্রতিদিন আপনার পাশে মিশে আছে যে
পোশাক ও চর্মের মাঝে
তার প্রকৃত ছায়া সকাল দুপুর সাঝে
আলো আঁধার নির্জনতার ভাঁজে
বদলায় কোন দিকে? কোন পাশে?
আর তার ছায়ার পাছে
আরো কত অশুভ কালো ছায়া
প্রতিদিন পায়চারী করে আপনার পাশে
আলো আঁধারে রঙের মিল করে নিজেকে সাজাচ্ছে
মেকি হাসি হাসছে, সিঁড়ি বেয়ে উপরে নীচে যাচ্ছে
এদিক সেদকি তাকাচ্ছে ঝোপ বুঝে কোপ মারছে
আর নিজেরে কেমন ছায়ার ভাঁজে ছায়া করে রাখছে।
একটু ভাল করে দেখুন! বিবেকের নির্মল আয়নায়
দেখুন নিজেরেও কেমন দেখাচ্ছে?