উৎসর্গঃ- দুই বাংলার কৃষকদের পবিত্র চরণে-
--------------------------------------


সেদিন (১৯৪৬-১৯৫০) তেভাগা আন্দোলনের দাবীতে
(ফলায়িত ধানের দুই ভাগ চাষার এক ভাগ মালিকের)
দরিদ্র চাষীর বুকের আগুন ফুঁসে উঠেছিল সারা বাংলায়
বৃটিশ সাম্রাজ্যেবাদের জুতা লেহনকারী জমিদারের আস্তানায়।


অবাক বিশ্ব দেখেছে রোদে পোড়া চাষার মজবুত শরীর
অনাহারী কৃষাণীর ঘাম আর রক্তে আকাশ ছোঁয়া আগুন
কাস্তে কোদাল লাঙলে লুকানো দুর্বার বারুদের রণ স্ফুরণ
বঞ্চিতের সঞ্চিত কবিতা শষ্যের মাঠে আবৃতির ফাগুন
‘জান দেব তো ধান দেব না’। অপূর্ব এক কবিতার ভ্রূণ
অরুণ রবির কিরণে্র মত মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে সারা বিশ্বে -
বাংলার মাঠ থেকে সাত সমুদ্র তের নদী ওপারের মাঠে।
চাষী ফেরে আঙিনায় দ্বিগুণ ফসলে সোনার তরী লয়ে ঘাটে।


আবার তেভাগার ডাকা দিতে হবে তোমার আমার বাঁচার তরে
ভুলে যেও না! তুমি আমি জন্মেছি যে, সেই দুর্নিবার চাষীর ঘরে।