আমরা এখণ প্রতিদিন ই মরছি
কোন না কোন এক আংশিক কিংবা পূর্ণ মৃত্যুতে।


এইতো সেদিন পুলিশের চোখের সামনেই বিশ্বজিত মারা গেল
তাঁর সাথে মরে গেল আমাদের আইন প্রয়োগকারী সংস্থা।
আর তাঁর ময়না তদন্তে মরে গেল
সমস্ত মেডিকেল ব্যবস্থার সুনাম আর আস্থা।


রাতের আঁধারে সেদিন
হেফাজতের ঘুমন্ত কর্মীদের মৃত্যু হল
মৃত্যু হল আমাদের বিশ্বাসের সকল স্বচ্ছতা।
ফটিকছড়িতে আওয়ামীলীগের কর্মীরসহ
বিভিন্ন স্থানে আইন-শৃংখলা বাহিনীর নির্মম মৃত্যু
আমাদের অনাগত অনাহুত আরো মৃত্যুর ইঙ্গিত দিয়ে গেল ।


সেদিন সংসদে আমাদের স্মমানীত সাংসদবর্গ
যে অসৎ  আচরণ ও অশ্লীল-অশ্রাব্য বাক্যালাপে
দেশের প্রচলিত রাজনীতি ও রাজনীতিবিদের জন্য
যে অপমান আর ঘৃনার মৃত্যুর ছাপ রেখে গেল প্রকাশ্যে
তার দুর্গন্ধ হয়তো অনেক দিন
রয়ে যাবে আমাদের পরিবেশের বাতাস।


অপরদিকে তাজরিনের চিতার আগুন, রানা প্লাজার ধ্বস
যে অপমৃত্যুর প্লাবন দিয়ে গেল আমাদের জীবনে
সাথে দুর্নীতির দায়ে পদ্মা সেতুর আধোমৃত্যু
আমাদের বিশ্বজোড়া ভাবমূর্তির অপমৃত্যু দিয়ে গেল।
আরো শোনতেছি, আমাদের গর্ব গ্রামীন ব্যাংক
তারও নাকি আসন্ন অকাল মৃত্যুর ইংগিত সরকারের হাতে।

এমনি করেই প্রতিদিন আমরা; কোন না কোন এক
আংশিক কিংবা পূর্ণ মৃত্যুর কাছে আত্মসমর্পণ করছি।