শোন বলি গো লক্ষ্মী মেয়ে কিষাণ পাড়ার সীতে
আমায় তুমি ভুলিও না গো অন্য গাঁয়ে যেতে।


আমা কাঁঠালের বনের ধারে দোলনচাপার খেলা
শিউলি ফুলের মালা গেঁথে হারাও পাঠের বেলা
সন্ধ্যা হলে পাড়া মাতাও পাঠের খাতা রেখে।


বৃষ্টি হলে যায় কি রাখা তোমায় বেঁধে ঘরে
বিলের ধারে শামুক কুঁড়াও হাসের ছানার তরে
ওদের ক্ষুধা সইতে নার তোমার কোমল চিঁতে।


কলসি কাঁখে জল ভরিত দীঘির ঘাটে গিয়ে
ফির যখন দুপুর পথে ভরা কলস নিয়ে
আমি তখন চেয়ে থাকি ব্যাকূল ব্যথা দিটে।


ঝাকড়া চুলের বিনুনীতে ঝুমকোজবা এঁটে
মাঝে মাঝে আস যখন মাকে দর্শন দিতে
বুকটা তখন ককিয়ে ওঠে জড়িয়ে বুকে নিতে।