(চতুর্থ অংশ:


স্বাধীনতা! যে তোমার জন্য ত্রিশলক্ষ তাজাপ্রাণ আত্মাহুতি দিল
তিনলক্ষ মা বোন সতীত্ব দিয়ে তোমার ভালবাসার প্রমাণ দিল
কত মায়ের পাঁজর ভাঙা আর্তনাদ দিয়ে তোমার ঋণ শোধিল
কত ভাই বোন বেদনার অশ্রু দিয়ে তোমার নাম লিখিল
কত প্রেয়সীর নাকের নোলক বিনিময়ে তোমাকে যাচিল।
বেদনার অশ্রুতে কত আঁচল ভাসিল, কত বাসর ধ্বসিল
কত গ্রাম শহরতলী বন্দরের গলি আগুনে মিশিল
কত নাম প্রিয় স্বরগাম অঝোর রুধিরে মুছিল  
কত বেদনার নদী বাঁক ঘুরে বক্ষে এসে উপচিল।
অনাথের কাঙ্ক্ষিত সেই স্বাধীনতা!
তুমি কই?


স্বাধীনতা যদিও তোমার নামে নেতানেত্রী রাজারাণী
বক্তৃতার মঞ্চ, শোষণের পেষণের নতুন ঘাণি
চাঁদাবাজি ছিনতাই খুন ধর্ষণ রাহাজানি
দলাদলি গালাগালি ভাঙচুর লুটপাট হানাহানি
ক্রসফায়ার, মিথ্যে মানবাধিকার গণতন্ত্রের বাণী
ক্রন্দন হাহাকার অসহায় চোখের পানি
এ সবই পেয়েছি আমরা
কিন্তু তোমাকে এখনো পাইনি।


স্বাধীনতা তোমার জন্য এখনো স্বসস্ত্র সৈনিক
অসংখ্য দেশপ্রেমিক পথের মোড়ে বনের দোরে
যত্রতত্র অপেক্ষার প্রহরায় জেগে থাকে
ঝাপসা চোখে মা দুয়ার খুলে চেয়ে থাকে
মাঝি পাটাতনে কান পেতে রাখে
তুমি এলেই জড়িয়ে বুক জুড়িয়ে নিবে।
তারপর বদর! বদর! বলে নৌকা খুলে
হাল চেপে পাল টেনে দিবে
স্বপ্নের বেশাতি মানুষের গাঁয় দূরের বন্দরে
শহরে-গঞ্জের জনতায় পৌঁছে দিবে;
তুমি এলেই স্বাধীনতা! কিন্তু তুমি কোথায়?