(ষষ্ঠ অংশ)


স্বাধীনতা তোমার অবর্তমানে আপন স্বাধীন স্বদেশে
পরাধীন, নির্বাসিত, বাস্তুভিটেহীন পথের সন্যাস আমি
রাজদ্রোহী নেতাদ্রোহী বিদ্রোহী দণ্ডিত ফেরারী আসামী
গ্রাম-গঞ্জ-শহর-বন্দর অলি-গলি অন্ধকার ছদ্মবেশে
হন্যে হয়ে তন্ন তন্ন করে তোমাকেই খুঁজছি স্বাধীনতা!
কিন্তু তুমি কোথায়?


স্বাধীনতা তুমি একবার আসো!
আঁধার বাঁধন ছিন্ন করে শিকল ছিঁড়ে দিয়ে যাও
মানুষের বন্দী দশা মুক্তস করো।
স্বাধীনতা তুমি ফিরে এলেই আমি ঘরে ফিরে যেতে পারি
দণ্ডিত ফেরারী ছদ্মবেশী এ জীবনের অবসান হয়
বাস্তুভিটে ফিরে পাই, পূর্বপুরুষের শ্মশান গোরস্তানে গিয়ে
অঝোর ধারে কাঁদতে পারি
বেদনার মহাকাল মহাপ্লাবন সার্থক হয়
অশ্রুর নদীতে সুখের চর পড়ে
মিছিল শ্লোগান আগুনের দিন ফুরায়
প্রতিদিনের অপঘাত অপমৃত থামে।
জনতার রাজ্য জনতার শাসন জনতার কাছে ফিরে আসে
সোনার জন্মভূমি সোনালী দিনের আলোর কলরবে মুখরিত হয়।
কিন্তু সত্যিকার স্বাধীনতা তুমি কোথায়?