এই গাঁয়ের এক দুষ্ট মেয়ে শেফালী তার নাম
মিষ্টি মধুর চলন বলন সেদিন দেখিলাম
দুপুর বেলা জল ভরিতে দীঘির ঘাটে এসে
সুদূর পানে তাকিয়ে আছে উন্মনানীর বেশে
চন্দ্রমুখী চাঁদ যেনো গো উঠলো হঠাৎ হেঁসে
শানের ঘাটে পাতার ফাঁকে নারিকেল বনের দেশে।


উড়নি তাহার উড়ছে হাওয়ায় নীলাঞ্জলে মিশে
বারে বারে যায় জড়িয়ে সবুজ ঘাসের শীষে
মুখখানি তার আধো ঢাকা এলোমেলো কেশে
চোখ দু’টো ঐ তেপান্তরে মেঠো পথের শেষে
ঝাপসা চোখে দূরের লোকে ব্যাকূলিয়া সে
ঐ বুঝি তার মনের মানুষ ঘরকে ফিরেছে।


এমনি করে নিত্য দেখা জলভরা সেই পদ্মদীঘির কাছে
সে জানে না সংগোপনে কবি তারে কত ভালো বাসে!