ছি! ছি! ঐশী! এত অধঃপতন হয়েছে এখন তোমাদের?
শেষ পর্যন্ত পিতামাতার রক্তে রাঙালে পাষাণ কৃপাণ নিজের।
একবারও কি ভেবেছ কখন ও কৃপাণ উত্তোলনের আগে?
কাদের বুক করবে জখম কোন রক্তে ও হাত রাঙাবে?
কোন স্নেহ-সুধা নির্ঝরণ মমতার কানন করবে দাহন?
স্বর্গীয় কোন পবিত্রতম বিশ্বাসের করবে নিঠুর দাফন?
মমতার রক্তক্ষরণে ও কৃপাণ নিবে আরো কিযে কেড়ে?
আশার বাসা স্বপ্ন অভিসার কিছুই কি রেখে যাবে ছেড়ে?


ঐশী! তোমার জন্য সত্যই বড় করুণা হয় আজ
তোমাকে শেষ পর্যন্ত ধ্বংস করলোই আমাদের সমাজ।
কালো টাকা কালো নেশা কালো ফুর্তি কালো ছায়ার নাচ
পিতা-মাতার গগনচুম্বী লালসা, হাই সোসাইটি উচ্চাভিলাষ
নারী স্বাধীনতা নামে নাটাইহীন উড়ন্ত ঘুড্ডির ডিগবাজ
‘বাগোট্রা ফুটো রে’ হৈ হুল্লোড় উড়ানির ঘুরানি বাতাস
তোমাদেরে দুমড়েমুচড়ে ডাস্টবিন ভাগাড়ে ফেলে দিল আজ।


তবে শান্তনা এটুকুই এখন-
‘আল্লাহ যা করেন মঙ্গলের জন্যই করেন সর্বক্ষণ’।
যেমনঃ- তোমাকে দিয়ে আমাদের বিশেষ এক সমাজের
মুখোশে ঢাকা গোখরো মুখ, হিংস্র রূপ করালেন উন্মোচন।
দেখালেন কত নোংরা কালো কুৎসিত বড় বড় আমলাদের
বিশেষ বিশেষ এলাকা বিত্তশালী কিছু শিক্ষিত মানুষের
হাত, পা, বিদ্যা- বুদ্ধি, ধর্ম-কর্ম, মন ও মনন।
কত উদাসীন দায়িত্বহীন আমাদের মিডিয়া, রাষ্ট্র ও প্রশাসন!


কোন গুম, খুন অপরাধই সুস্থ মানুষের কাম্য নয়।
তবু কেনো জানি আজ বলতে বড় ইচ্ছে হয়-
ঐশী! তুমি যা করেছ,  যে  অধ্যায় গড়েছ
তা যেন অন্ততঃ কিছুদিন আমাদের মনে রয়।