এবার তোরে কথা দিলাম সই!
দেশে আবার কোন স্বাধীনতা যুদ্ধ হলে
আমি মুক্তিযোদ্ধা না হয়ে রাজাকার হব বই।
স্বাধীনতা রক্ষা বা অর্জনে দেশের মাটি আঁকড়ে ধরা নয়
মানচিত্র পতাকা ছিঁড়ে খুড়ে খাব, যাতে উদরপূর্তি হয়।
মুক্তিযোদ্ধা আর তার স্বপক্ষেরঁ মানুষের রক্ত
তাজা তাজা চোখ ভিতরের মনি উপড়ে খাব
নারীর ই্জ্জত কম্পিত  ঠোঁট কিশোরীর কান্না চুষে খাব
খুদের জাউ বা ফেনা ভাত নয়, একেবারে বিদেশীদের রান্না
কোর্মা পোলাও বিরানি সাথে বোরহানি, লালপানীয় খাব।


লুট-তরাজ, খুন-খারাবী সব করবো, ভাগ্যটাকে নতুন গড়বো
ঘরে ফেরার সময় কাড়িকাড়ি টাকা আর বাক্স ভর্তি গয়না
তোর যা চাই, যত কিছু বায়না, ট্রাকে ট্রাক নিয়ে আসবো।
কি বললি ফাঁসির ভয়? বোকা মেয়ে! কি যে কয়
আমাদের নেতা-নেত্রী আছে না! তাঁদের অবৈধ বাসনা
মিটিয়ে দিল এমন কি হবে না সামান্য জেল জরিমানা।
আরো বলি শোন! ওদের যে জাতির পিতা হবে না
তারে স্বপরিবারে নির্মম খুন করতে পারলেই
আমি বিদেশে মিশনারি আচার্য হব না!
আরে মন্ত্রী হবারও আছে খুব সম্ভাবনা।
যদি সেই মেডামের তেমন না থাকে লেখা পড়া জানা
তাহলে তো হাতেই চাঁদ, সোনায় সোহাগা সোনা!
আমি হব বুদ্ধিজিবি, তুই বুদ্ধমতি রমনা
ধানমণ্ডি গুলশান বানানীর বাসিন্দা
ক্লাবে ক্লাবে বকৃতা মঞ্চে আমাদের ঠিকানা।


আরে নিজেদের যদি একটা টেলিভিশন হয় না
ফাটাফাটি কাটাকাটি অনুষ্ঠান ঘোষণা
আমি আর তুই, তুই আর আমি
আমাদের পরিবারের কত গল্প কথা হবে শুনা।
কী বলিস? ও সবের দর্শক শ্রোতা বক্তা আসবে কোত্থেকে?
আরে সেদিনও আজকের মত এমন হাজার ভেড়ার পাল
সিং ওটা এড়ে দেশে থাকবে বহাল তবিয়তে।


কি বলতে চাস? স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এলে ক্ষ্মতায়?
বআমাদের বিচার করে এমন শক্তি ও একতা ওরা পাবে কোথায়?
আমাদের সাথেই তো থাকবে অনেক মুক্তিযোদ্ধা ঘরের বিভীষণ
আইনের অপব্যাখা প্রদানকারী উকিল ব্যারিস্টার বার এসোসিয়েশন  
থাকবে হাজারো মিডিয়া বিদেশি প্রভুদের নানা সময় নানা কথন।
আর নির্বাচন নির্বাচন খেলায় ক্ষমতায় এলে পালা বর্তন
আমাদেরে আর কে আটকায় তখন?
বুক ফুলে সব ভুলে তোরে নিয়ে মুক্ত হাওয়া খাব
লাল ডাঙা নীলামতির লেক হেঁয়ালির গড়ে।
কথা দিলাম সই! আবার যদি জন্মাই এ অভাগা দেশে
স্বাধীনতার যুদ্ধ যদি আবার ফিরে আসে
মুক্তিযোদ্ধা না হয়ে রাজাকার হব
ভিক্ষুক নয়, কপাল পোড়ার দেশে
মন্ত্রী হয়ে গাড়ীতে পতাকা উড়াব।