পটভূমিঃ গতকাল ০৫/০৯/২০১৩ তারিখে ‘একুশে টিভি’র প্রচারতি ‘একুশের চোখ’ নামক অনুষ্ঠানটি দেখার পর আমার নিজেকে কেমন জানি ভীষণ অসহায় এবং বেখাপ্পা বেখাপ্পা মনে হচ্ছে। ভাবছি কোথায় আছি আমরা? স্বাধীন কোন স্বদেশে, নাকি অন্ধকার যুগের কোন অন্ধকূপে। বাংলাদেশের ভোলা জেলার ইলিশ ইউনিয়নের চরানন্দ নামক গ্রামে বাইন্যা বাহিনী, উকিল বাহিনী এবং সিরাজ বাহিনী কর্তৃক প্রায় দেড় শ জন নারী নির্বিচারে ধর্ষিতা। তাও আবার মা-মেয়ে বউ-শাশুড়ি ননদ-ননদিনী একই সাথে সামনা সামনি। যা পৃথিবী সৃষ্টি লগ্ন থেকে অদ্যাবধি কোথাও কোন মানব ইতিহাসে রচিত হয় নি। এর পরও কী বলতে পারি যে, আমরা সভ্য দুনিয়া নামক কোন সভ্য দেশে কোন মানব সমাজে এখনো বেঁচে আছি। অথবা আমি নিজেই কি মেরুদণ্ডী কোন প্রাণী? যদি হই তাহলে আমার করনিয় কি? এমন পৈশাচিক অমানবিক ঘটনা  গল্প, কবিতা কিংবা কোন শিল্পীর ক্যানভাসে ধারণ করা যায় না, হয়তো সম্ভবপর নয়। তার উপরে আবার আছে  কিছু মণিষীর সৃষ্ট কবিতার শ্রেণী বিন্যাসের অনাকাঙ্ক্ষিত উৎপাত।  তবে ওসব মানার সময় বা মন-মানসিক আমার তেমন নেই। যারা ওসব মানেন বা মানার সময় যাঁদের আছে  তাঁরা ওর শৃংখলাবদ্ধ হয়ে তাবেদারী এক বিরস মরুভূমে পড়ে থাক। আমি আমার মত চলি আর আমার মত করে বলি। কারেও নিন্দা করে লাভ নেই।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------


কেউ কি আছো এমন যে দিতে পারবে বর্ণনা?
কোন যুগে কোন ইতিহাসে বাংলাদেশের মতন
ঘটেছে এমন বর্বরোচিত ঘৃণিত ধর্ষণের ঘটনা।
যেখায় একই গ্রাম-একই মহল্লায় দেড়শত জন
মা -মেয়ে -পুত্রবধূ, ননদ- ননদিনী, শহদরা বোন
একসাথে একই ঘরে সামনাসামনি হয়েছে ধর্ষিতা
করজোড়ে ভিক্ষা চেয়েও মেলেনি সতীত্ব ভিক্ষা।


ঘরের লক্ষী, সংসার প্রদীপ, সতী- সাধ্বী সীতা
মুহূর্তে করেছে দাহ আমাদের সমাজের অধর্মচিতা
নোংরা রাজনৈতিক দলের দলীয় কিছু বেশ্যাপুত্র
বিভিন্ন না্মের ক্যাডার বাহিনী শূয়র-কুকুর গোত্র
বিষাক্ত লালা রসে প্রজ্বলিত নিকৃষ্ট ধুম্র অগ্নিশীখা
একত্র শত সতীর দাহন, আকাশ বিদীর্ণ ক্রন্দন
মনুষত্বের এমন মরণ পৃথিবী দেখেনি এর আগে।


অথচ তাঁদের সে কান্না বুকফাটা আর্তনাদ ক্রন্দন
শোনে নি কোন পাষাণ সমাজপতির নীচাশয় মন।  
সাধুবেশী স্বার্থান্বেষী ঈমাম-পুরোহিত ভণ্ড দেবতাগণ
পদোন্নতি ঝুটার আশায় বুঁদ অদ্ভুত ন্যাকা প্রশাসন
মিথ্যাবাদী বিদেশের দাসী-বাঁদি এন জি ও-সংগঠন
‘মানবাধিকার’ নামে মাবতাহীন ছায়াপ্রেত প্রতিষ্ঠান
ঈশ্বর, বুদ্ধ, ইলোহিম, ওয়াহেগুরু, বধির ভগবান
এমন কি আল্লাহ নামের সেই সর্বশ্রোতা মহামহিয়ান।


কোথায় আজ আলকায়দা, জেএমবি, মাওবাদী,  সর্বহারা
ইঙ্গ-  মার্কিন-  ফরাসী- ন্যাটো শকুন বিশ্ব ক্ষতির বাড়া
এখানে আসো জাহাজ থামাও ট্যাং লড়ি কামান নামাও
বিমান উড়াও!  হেলিকপ্টার ঘুরাও!  কমান্ডোরা নামো
সর্বহারা মা বোনদের সাথে নিয়ে হাতে অস্ত্র তুলে দাও
বোমায়- গোলায়- ধুঁয়ায়- ধুলায় ধবংস ডেকে আনো
দুরাচারী দুর্নীতিবাজ দুঃশাসকের আশ্রমে আগুন লাগাও!
সবহারা ব্যথিত মানুষের ইজ্জতের বদলা নিতে দাও।  
যারা এতদিন শোনেনি অসহায় অনাথের অশ্রুত ফরিয়াদ
তারা অনাথের পায়ে পড়েই করজোড়ে জীবন ভিক্ষা চাক।  


আসো হে বিদেশী যুদ্ধবাজ ধ্বংসরাজ স্বদেশী নেকড়ে শকুন
বরিশাল-সমগ্র বাংলাদেশে আসো! আগুন লাগাও! আগুন !