সত্যি করে বলতো মেয়ে,
হঠাৎ করে আনমনা হোস ?
আমার কথা ভাবতে গিয়ে,
নাকি নেইকো সময় সেসব ভাবার ,
দশটা পাঁচটার চড়কি কলে,
খুচরো সময় হচ্ছে কাবার ।
জানিস, রোজ যখনই সন্ধ্যে নামে,
চোখ দুটো হয় চাতক পাখি ,
এই বুঝি তোর গন্ধ এলো ,
আলতো করে নীলকুয়াশার খামে ।
আটকে থাকি চৌকো স্ক্রিনে চেয়ে ,
আর টুকরো জীবন বাম অলিন্দ বেয়ে।
তুই শুনেছি খরস্রোতা নদী,
ভাসিয়ে নিবি সুযোগটা পাস যদি ।
আমিও তবে উড়নচণ্ডী মাঝি ,
জীবন ভেলায় রোজ খেলে যায় বাজি ।
তোরও নাকি খুব ক্ষণিকের আরাম,
আছে আমার মতো মন খারাপের ব্যারাম ।
হেঁটেছি তোর উথালপাথাল মনে ,
জানিস, শান্তি আছে ঠিক বাঁ দিকের ওই কোণে।
তোর দেখেছি ওলটপালট স্বভাব ,
আমিও না হয় বেখেয়ালের নবাব ।
তোরও বুঝি ঘুম আসে না রাতে,
আমার মতো বিনিদ্র রাত কাটে ,
তোর কাছে তো রাত্রি মানে কালো,
আমার চোখে শুধুই চাঁদের আলো ।
তুই বললি ভাল্লাগেনা কিছু,
আমিই জড়ায় পায়ে পায়ে পিছু ।
তোর শুনেছি আগুনপাখির শরীর ,
আমি আবার মরা আগুন, ক্ষান্ত এবং স্থবির ।
তোর তো আবার রাগের মেজাজ, মুহূর্তে সব বাদ ,
সূয্যিটা থাক তোরই কাছে, আমার ভাগে চাঁদ ।
তুই বললি ভণ্ডামি সব ভালোবাসা বাসি ,
আমি আজও অপেক্ষাতেই, প্রেমিক শব্দচাষী ।
হাতটা না হয় ধরলি না আর, মনের কাছেই থাকিস ,
মোহের জালে আটকাবোনা, মায়ায় বেঁধে রাখিস ।