এইযে পথের ধারে কখনো বা ওই মোরে,
দলবল বেঁধে উড়ুচন্ডি সারাদিন মান ঘোরে।
জলিল চাচার চা দোকানে আড্ডা দিতে বসে,
রমনী সুন্দরী ক'জন গেল সেই হিসেব কষে।।


কাজের বেলা নেই কিছু তার ঝগড়া সবার সাথে,
দিনের বেলায় ঘুরে বেড়ায় ফিরে মাঝ রাতে।
বেপরোয়া সে শোনেনা কথা বাপ যা তারে বলে,
মা বিদায়ের পর হতে আজ এই পথে এই দলে।।


কার মেয়েটা স্বুল ছাড়লো গেল কলেজ পানে,
কার বোনের ওই রূপটা ভালো সব যে সে জানে।
প্রাণের মায়া নেইকো তার হাতে থাকে কখনো ছুরি,
টাকা পয়সার প্রয়োজনে দিব্যি করে চুরি।।


একদিন এই বরি নামের ছোট্ট ছেলেটা,
আজকে এমন বখে যাবে কে জানত তা?
বাবার আদর মা'য়ের স্নেহ কমতো ছিলোনা,
মা মরাতে সব হারালো কিছুই রলো না।।


আজকে যত অপরাধের গুরু সে হয়েছে,
সৎ মায়ের ওই বঞ্চনাটা এর পিছে রয়েছে।
মানুষ মেরে কাবাব করে হাড়গুর দেয় ভেঙ্গে,
অবলা মানবী হয়রান হয় তার প্রেমের রঙ্গে।।


যার কথা বলছি আমি থাকে সে দিনাজপুর,
রবি মাস্তান একনামে তারে চিনে বহুদূর।
গাঁজা বলো মদ বলো সব থাকে ঝুলিতে,
সাধ্য নেইতো সৎ উপদেশ তারে বলিতে।।


প্রথম সপ্তাহ-জানুয়ারি-২০১৬।


(প্রথম যখন আমার লেখা পত্রিকায় বের হয় তখন আমাকে একটি পরীক্ষা দিতে হয়েছিল। নির্ধারিত সময় ও বিষয়ের (দিনাজপুরের বখাটে ছেলে) উপর একটি কবিতা লেখার পরীক্ষা। এটা যাচাই করার জন্য যে, কবিতাগুলো আমিই লিখি না অন্য কারো। আল্লাহর রহমতে মাত্র ৩০মিনিটের পূর্বেই আমি লিখতে সমর্থ হয়েছিলাম কবিতাটি।
এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবার পর আমার "ভালোবাসা" কবিতাটি প্রকাশ হয়)