আমাদের বাড়িতে এক ছিলো বেড়াল ছানা,
রান্নাঘড়ে, মাছের গন্ধে রোজ দিত হানা ।
জানতে চাওনা সে ছানার নাম;
      বলছি দারা একটু থাম্ ।
মায়ের কাছে এসে শুনি, ঠিক করেছে খুকুমনি ।
বয়স তাহার কত হবে, হাতে-গুনে মাত্র সবে ।
4মাসে খুকুমনি, বড় হয়েছে অনেক খানি ।


শান্ত-শিষ্ট-ভদ্র তবুও, ছিল একটু দুষ্টুমি,
বলতাম তাকে খুকুমনি, বিয়ে দেবো তোর একদিন আমি ।
সেই না শুনে রোজ করত বড়ই অভিমানি,
হাসি ফুটিয়ে বলতাম তখনই, রাগ করিস না খুকুমনি ।
ভালোবাসা তার এতই ছিল, করত না কেউ মানা ।
ইঁদুরের যন্ত্রনাতে, খুকুমনিকে বাড়িতে আনা ।
খিদেয় সেদিন খুকুমনি, ধরেছে তার বায়না ।
পরতে চোখে ইঁদুর ছানা বলছে ব্যাটা আয়না ।
খিদের জ্বালা, দুঃখের বালা  ভোজন করলে তাকে ।
বিষের কারন, সুখের  বারন খুকু ছাড়লো আমাকে ।


ডালিম গাছে তার সমাধি,
পরতে মনে উঠত কাঁদি ।
স্বপ্নে আমার পায়ের কাছে,
ইঁদুর ছানার দুষ্টুমি ।
আমি বললাম খুকুমনি, কোথায় গেলি আয় এখুনি ।
ডাকতে তাহার নাইকো সাড়া,
রেগে বললাম আসছি দ্বারা ।
চেতন পেয়ে দেখি আমি, হারিয়ে গেছে আমার খুকুমনি ।।



                                     -- শম্ভুনাথ  মন্ডল