একটু একটু করে আবৃতকে অনাবৃত করলাম।
একটি একটি করে পাঁপড়ি ঝরে পড়ছে!
চারিদিকে শুনশান নীরবতা,
নিঃশ্বাসের শব্দে ভাঙছে নিরবতা।
যেন তুমি আমি পৌঁছে গেছি প্রস্তর যুগে।
প্রকৃতি আজ পুরুষ সেজেছে,
করছে অবিরাম আদিম বর্বরতা।
ব্রেসিয়ার দ্বিতীয় নম্বর হুকটা খুলতেই
আল্পস পর্বত মালা দুলে উঠে।
যেন হিমালয়ের দুর্গম গিরিখাদ।
কাঁপিয়ে দিয়ে যাচ্ছে সব প্রলয়ংকরী নৃত্যে,
দেখছি আর অবাক হচ্ছি চকিত চমকে।
একি, এতো চেনা পথের অচেনা গলি!
আমি নিমিষেই ঝাপিয়ে পড়লাম বর্বরতায়।
তুমি অন্তর্বাসের নিচে ব্যস্ত তারাবাতি হাতে।
আমার সমস্ত শরীর জুড়ে বিদ্যুৎ খেলে।
নিজের মধ্যে কেমন যেন পরিবর্তন আসলো,
আমি প্রেমিক থেকে পুরুষ হয়ে যাচ্ছি।
অনেকটাই প্রকৃতির মত,উদ্দাম অনবদ্য।
আমি হাতড়ে হাতড়ে পৌঁছে গেলাম মায়ানদীর ঘাটে,
যেখানে সুষমা ইরা পিঙ্গলা মিলেছে একই তটে।
মায়ানদীর ঘাটের পিচ্ছিল পথ পাড়ি দিলাম,
দক্ষ নাবিকের মত গন্তব্য পাড়ি করলাম।
হায় ঈশ্বর,আমি তো পুরুষ হতে চাইনি,
স্বর্গ সুখের ইশারায় আমি প্রেমিক পুরুষ হলাম।