তুমি আমারে যেও ভুলে....
প্রাণের বাঁধন একেক করে নিজ হাতে দিও খুলে।
বেঁধেছ যে ঘর বুকের ভেতর সে বুক করে খালি
উপড়ে ফেলো খুঁটি তার যত, অভিশাপ দিও ঢেলে।
উত্তরী ঝড়ে মিশিয়ে দিও সেই ব্যথা সম্ভার
যে ব্যথা-ভার জমাট বেঁধে গড়েছে গিরি-পাহাড়
যে ব্যথা নিয়ে জ্বলছে হৃদয়, পুড়ছে নিশিদিন
সুখ নিতে গিয়ে আঁচল ভরে দুঃখ নিয়েছো ঋণ।।


আমারে যেও তুমি ভুলে....
মনে করো হীরা খূঁজে পেতে কাঁচ নিয়েছিলে তুলে
অথবা পথের বুনোলতা তুলে নুপুর বেঁধেছ পায়ে
অজানিতে লতা দিয়েছে জ্বালা নুপুর বেশে ছেয়ে
খুলে ফেলো তারে নুপুর হওয়ার যোগ্যতা যার নাই
পথে যারে পেলে পথের বুকে করে দিও তার ঠাঁই।


তুমি আমারে যেও ভুলে....
বিঁধিয়োনা প্রাণ নিছক আশার গ্লানীময় ব্যথাশূলে
অশ্রু জলের মূল্য কোথায় বুকেই যেখানে সিন্ধু
অতল জলে ডুবে নিমেষেই সকল ব্যথার বিন্দু
ঝড় বয়ে যায়, দুলে তরঙ্গ, ফেনায় ভাসে তীর
মাঝি ভুলে দিক, ঠিকানা হারায়, ভুলে স্বপ্নের নীড়।


তুমি আমারে যেও ভুলে....
স্বপ্ন হয়ে এসেছিলাম তোমার তন্দ্রায় দুলে দুলে
হঠাৎ জেগে চারিধারে তুমি খোঁজো না কভু আর
আঁধার কায়ায় আঁধার ভাসে, আলোয় মেনেছি হার
স্খলিত পাপড়ি ধূলাতলে তার ঠিকানা নিয়েছে খূঁজে
নিও নাকো তুলে মনের ভুলে দিতে খোঁপায় গুঁজে।।