[[জীবন নদীতে বয়ে চলে নিতি উজান-ভাটির টান
সুখ দুঃখ দিয়ে লিখে দেয় বিধি জীবনের উপাখ্যান
সুখ দুঃখ কভু গলাগলি করে জমজ বোনের মতো
একই ডোরে যেন রাঙা দু'টি ফুল বাঁধা যতনে কতো
সে ফুল-মালা নিজ হাতে বিধি ভাগ্যের গলে দিয়ে
আপন মহিমায় সদাসীন থাকে সকল তুষ্টি নিয়ে
মানব সকলে দোলে দোলাচলে সুখে দুঃখে অবিরত
সুখ ভুলে যায় দুঃখের ছোঁয়ায়, দুঃখ ভুলে তারি মত
সুখ-দুঃখেরে বেঁধেছে রে কে রে দিবস রজনী সম
একেরে দেখে লুকায় অন্যে হয়না তাহাতে ভ্রম
সুখ আর দুঃখের মেলে-মিশেলে জীবন বয়ে যায়
কেউ তাহারে স্মৃতি করে পোষে, কেউ ভুলে সবটায়]]


অতীত দিনেরে করিয়া স্মরণ কিষাণের রাণী কাঁদে
নয়ন জলেরে রুধিতে নারে বাঁধা নাহি মানে বাঁধে
বাপ-মা বোনের কত শত কথা পড়িছে সদাই মনে
তাহারে ছাড়ি নাজানি উহারা রহিয়াছে কে কেমনে
সারা দিনকার খাটুনির শেষে একেলা ঘরেতে বসি
এমনি হাজার স্মৃতির জোয়ারে নয়ন উঠিছে ভাসি
এক বিছানায় শুইতো দুই বোন গলা জড়াজড়ি করে
'ডর লাগে বুবু' বোনটি রাখিত তাহারে আঁকড়ে ধরে
আজ জানা নাই ছোট বোনটি ঘুমায়াছে নাকি জেগে
ঝাপসা হইলো প্রদীপের আলো ব্যথার হাওয়া লেগে।