পথিকঃ
পথিক আমি, পথের শেষে
খুঁজে পাবো ঘর,
তাইতো ছুটি হন্যে হয়ে
নাইতো অবসর।
ভুলবো সেথায় পথের ক্লান্তি
ভুলবো পিছুদিনে,
তোমার ব্যথার সুর-কাকলি
রইবে নাকো মনে।
হারিয়ে যারে খুঁজো কবি
পথের বাঁকে বাঁকে,
ভুললো সেজন তোমার কথা
কালের ঘূর্ণিপাকে।
তুমিও ভোল ব্যথার ছবি
মোছ নয়ন জল,
পদ্মে ভরো রুষ্ট দেবীর
কঠিন পাষাণতল।
পথের পাশে ফুটেছে ফুল
তাকাও তাদের পানে,
কাব্যে তোমার মেশাও সুবাস
পাপড়ি হতে এনে।


কবিঃ
ঘর-পোড়া মন বুঝে কি আর
ঘরের অভিধান?
অশ্রু হয়ে নয়ন কোণায়
ভাসে অভিমান।
সে মাের দেবী, তারেই মানায়
রুষ্ট-তুষ্ট গুণে,
পূঁজারী প্রাণ কি সঁপে আর
নিছক কথা বিনে?
ভুলবো কারে! বাস যে তারি
সীমার ওপাড় পাড়ে,
তাইতো পূঁজি ফুল-সুরভীর
কাব্য-উপাচারে।।


(পূর্বপ্রকাশিত পথিক ও কবি-১ এর অংশবিশেষ এটা, মিলিয়ে পাঠের অনুরোধ করছি।)