ফুল ফুটেছে বুনো লতায়
আস্তাকুঁড়ের ধারে,
মধুপ এলো মধুর খোঁজে
ফুল থেকে ফুল ঘুরে।


আসন পাতে পাপড়ি জুড়ে
মধুর কাছাকাছি,
তারে দেখে আসলো ছুটে
আস্তাকুঁড়ের মাছি।


দম্ভ ভরে বলল মাছি
কি খুঁজে যাস ফুলে?
দেখে তোদের এমন আচার
মাথা টা যায় গুলে।


কত খাদ্য আছে পড়ে
এইখানে ওইখানে,                    
মিছে তোরা ঘুরে মরিস
ফুলের বনে বনে।
        
যা কিছু পাই তা কিছু খাই,
দিব্যি কাটে ক্ষণ,
ভনভন ভন ধিন তা নেচে
পার করি জীবন।
                              
আহা মরি রূপ যে তোদের
হুলে বিষের জ্বালা,
গুন গুনগুন খোট্টা গানে
কানে লাগাস তালা।


গাছের শাখে থাকিস্ চাকে
জটলা করে সবে,
ওসব কিছুর নেই তো বালাই
ঘর দিয়ে কি হবে!


মধুপ ছোটে পাখনা নেড়ে
গুনগুনিয়ে কয়,
শ্রম দিয়ে ভাই সারাটা দিন
করে যাই সঞ্চয়।


দল বেঁধে রই মিলেমিশে
ব্যস্ত থাকি কর্মে,
বিনা কাজে হুল ফোটানো,
নাই তো মোদের ধর্মে।


ফুলের মধু জমিয়ে চাকে
দিন কেটে যায় বেশ,
নিজের কাজটি নিজেই করি
নাই তো দুঃখের লেশ।


বিদায় বন্ধু, এবার উঠি
তোমরা খেয়ে দেয়ে,
বেড়াও নেচে ইচ্ছেমতো
বাসি-পচা পেয়ে।।