ব্যস্ত সকলে কারো হাতে নাই দম-ফেলা অবসর
সরগরম হলো সোরগোলে আজ কিষাণের বাড়ি ঘর
কিষানের মেয়ে সেজেছে কনে বিবাহ আজকে তার
হুড়োহুড়ি আর ছুটোছুটি তাই ক্ষণ নাই থামিবার
পাড়া-পড়শী, আত্মীয় স্বজন দাওয়াতীরা এলো সবে
মুখর হলো তাই সারা বাড়ি ঘর কোলাহলে কলরবে
ধান-দূর্বা, পান-ফুল-বাতি কুলোয় সাজিয়ে চলে
নদীর ঘাঁটেতে মেয়ের দলেরা কলস ভরতে জলে
একজন চলে সমুখে সমুখে মাথায় লয়ে কুলো
বাকীরা চলে পিছনে তারি কাঁখেতে কলস গুলো
সবার মুখেতে বিবাহের গান নানান সুরের খেলা
কেউ হাঁকে করো তাড়াতাড়ি পার হলো যে বেলা।


লাজে লাল হয় বিবাহের কনে মেহেদিতে রাঙা হাত
জড়োসড়ো হয়ে বসে ঠাঁই ঘরে, পেটে পড়ে নাই ভাত
বিবাহের দিনে বিবাহের কনে উপোস করতে হয়
ছেঁচা পান মুখে বুড়ো দাদী এসে সকলের কাছে কয়
সখীরা সবে ব্যস্ত আজকে সাজাতে সখীরে কনে
পায়ে আলতা সিঁথিপাটি মাথায় কাজল দুই নয়নে
পরচুলা দিয়া সাজায় খোঁপা বিঁধিয়ে খোঁপার-কাঁটা
পড়ায় বেনারসী-সোনার পাড়-জড়ির ঘোমটা আঁটা
মাদুলির ছড়া, কানপাশা কানে, নাকফুল পড়ে নাকে
আরো কত শোভা দিতেছে লাজ দেহের থাকে থাকে।


বাইরের ঘরে বসায়েছে বর, শতেক বরের সাথী
কেউ উঠানে কেউ বসে খাটে-মেঝেতে মাদুর পাতি
হাতে রুমাল গলে জড়ি-হার মাথায় টোপর পড়ে
মুখেতে বরের মিঠা মিঠা হাসি যেন না-ই আজ সরে
পাংশু মুখে করে হাঁকাহাঁকি সে নাকি বরের চাচা
আর কত হবে দেরী, একি ছেলেখেলা দেখি বাছা!
কনের মামাও কম যায়না মুখে পুরে খিলিপান
বলে কাবিন তো রইল বাকী কাজীরে ডেকে আন্
বরের বাবা দিয়েছে সম্মতি মৌলভী যে গেল কই!
আসেন মিয়ারা সবাই মিলে বিসমিল্লাহ আগে লই.....
.....চলমান....