শুকতারা ওই নিভে নিভে জ্বলে ঊষায় হবে লীন
মসজিদের উঁচু মিনারে চড়ে ডাকছে মুয়াজ্জিন,
ভোরের তাজা বায়ুর সাগরে আজানের ধ্বনি ভাসে
জাগো ইনসান, জাগো মুসলিম নয়া ভোরের দেশে।


ডাকে মুয়াজ্জিন আজানের সুরে পরজগতের কাজে
চলে মুসল্লি মসজিদ পানে দাঁড়ায় জায়নামাজে,
কাতারে-কাতার হয় সামিল ভুলে ভেদাভেদ যত
উঁচু-নিচুতে, আমীরে-গরীবে নেই ফারাকের ক্ষত।


দ্বন্দ্ব-ফ্যাসাদ-ব্যবধান ভুলে কাঁধে মিলায়ে কাঁধ
খোদার ঘরে এসেছে ছুটে শোনাতে ফরিয়াদ,
সম্মুখে ইমাম তুলে তাকবীর 'আল্লাহু-আকবার'
অাল্লাহ মহান তার সাথে নাই তুলনা কারো আর।


জড়োসড়ো হয়ে বাঁধে হাত বুকে হৃদয় করে নত
সূরা-আয়াত করে তেলাওয়াত মাধুরী মিশায়ে যত,
রুকুতে নোয়ায় খাড়া গর্দান, তাসবীহ্ জপ করে
হাঁটুগেড়ে বসে সিজদায় মাথা ঠেকায় জমিন 'পরে।


মাগে বরকত, মাগে নেয়ামত রবের সিফাত-শানে
মাগে হেদায়াত, মাগে হেফাজত সকল দুঃখের ত্রাণে,
পাঁচ ওয়াক্ত- ফজর, জোহর, আসর, মাগরিব, ইশা
দরবারে খোদার মাগে নাজাত, পূণ্য পথের দিশা।


মরণের ডর বুকে রেখে মাগে তাওহীদী হায়াত
ত্বরায় যেন পরওয়ারদিগার মিজান-পুলসেরাত,
হাশরের মাঠে ডান হাতে যেন আমলনামা মিলে
ঠাঁই যেন হয় রোদ-উত্তাপে আরশের ছায়াতলে।


চলে মুসল্লি মসজিদ পানে পাপ-আযাবের ভয়
দিলে-দিলে যেন তিলে তিলে তা লক্ষ যোজনা হয়,
জগত সংসার মুসাফিরখানা, ঢেউময় পারাবার
নামাজে বসে তাই যেন কাঁদে হতে সহজে পার।


নামাজ সে যেন আরশি সম, পাপ আর পূণ্য দ্বীনে
মুখ দেখাদেখি করে দোঁহে আপনারে নেয় চিনে।।