বনের ধারে বইছে নদী
নদীর কুলে বন,
বনে-জলে কত্ত প্রাণির
নিত্য বিচরণ।


বুনো হাতি দাপিয়ে চলে
পা ধপাধপ ফেলে,
কুমির গুলো সাঁতার কাটে
শান্ত নদীর জলে।


কুমির-হাতির ভাব হয়েছে
একে অন্যের সনে,
হাতিও রোজ আসে ঘাটে
কুমির ঘোরে বনে।


দেখা হলে লেজটি নাড়ায়
হাতি নাড়ে শূঁড়,
দিনেদিনে বেশ বেড়েছে
খাতির দু’বন্ধুর।


একদিন এক দুপুর বেলায়
বেজায় খুশি মন,
কুমির এসে হাতির কাছে
জানায় নিমন্ত্রণ।


হাতি এলো কুমির-বাড়ি
বসলো আসন পেতে,
যত্ন খাতির করলো হাতির
খাবার দিলো খেতে।


নানান মাছে পাত ভরেছে
সাথে গোশত্- হাড়,
দেখেই হাতির চক্ষু-চড়ক
গিলে সাধ্য কার!


গপ্ গপাগপ্ খাচ্ছে কুমির
থাকলো হাতি চেয়ে,
বললো কুমির-বন্ধু ও হে
লাগলো কেমন খেয়ে?


মিছেমিছি বললো হাতি
বেশ হয়েছে খানা,
এবার চলো আমার বাড়ি
শুনছি না আর মানা!


চললো কুমির বনের ভেতর
হাতির নিমন্ত্রণে,
উদরপূর্তি করবে বেশ আজ
ভাবলো মনে মনে।


'হাতির খোরাক' সামনে এলো
বললো- "কুমির ভাই,
ইচ্ছেমতো করো ভোজন
লাজের কারন নাই।"


খাবার দেখে জলের কুমির
নাকটি করে উঁচা,
হায়রে কপাল! পড়লো পাতে
শুধুই কলার মোচা!