(আমার প্রিয় ব্যক্তিত্ব- লক্ষ্মন দা', যিনি অকালেই মর্ত্যের মায়া ছেড়ে আমাদের থেকে অনেক দূরে। শ্রদ্ধা নিয়ে স্মরন করছি তাকে-)


দূরে দেবালয়ের প্রমোদ কুঞ্জে
ফুটেছে পুষ্পরাজি শতদল মেলি,
বাউরি-বসন্ত বায়ে ভ্রমরী গুঞ্জে
মন্দা বাতাসে দোলে উর্বশী চেলী।


রিনিঝিনি নিক্কনে স্বর্গের উপবনে
নাচিছে অপ্সরা শত রাগীনির তালে,
হাসিছেন ব্রক্ষ্মা বসি ভূজঙ্গী আসনে
ময়ুরী মেলিছে কলাপ মহীরুহ ডালে।


বাজিছে শঙ্খ-ঢাক, সেতার, মৃদঙ্গ
দুলিছে স্বর্গপুরী বিমোহন সুরে,
বাতাসে বাতাসে জাগে লহড়ী তরঙ্গ
ঝর্ণার ধারা ছোটে দূর হতে  দূরে।


আসন ত্যাজিয়া বিষ্ণু বিশ্বামাতা সাথে
হেরিলেন স্বর্গধাম পরম আবেশে,
ধীর পদে চলিলেন দোঁহে কাননের পথে
দুলিছে কুসুমরাজি ব্যাপিত উল্লাসে।


দেখিলেন বিভু শেষে স্বর্গের কােণে
ঝরিছে গোলাপ কূঁড়ি, পড়ে ধূলিতলে,
না মেলিতে দল তার বড়ো অযতনে
হারায় সুবাস যতো,হাওয়া যায় দ'লে।


যমদূতে ডাকি বিভু করিলেন আদেশ
মর্ত্য হতে আন তারে সেবিতে যে পারে,
যার প্রাণে খেলে মায়া, মমতা অশেষ
ব্রজলোক ছেড়ে তারে আন স্বর্গধারে।


মানিল আজ্ঞা যমে, নিয়াছে তোমারে
মেনেছ পরম ধর্ম পরসেবা ব্রত,
দরদহস্তে দিতে উপশম পীড়িতেরে
অমিয়বচনে হিয়া হতো অবনত।


ছেড়ে গেলে পরিজন ব্রজেশ্বরের ডাকে
স্বর্গ প্রমোদ কুঞ্জে হতে ফুল-মালী,
বিদীর্ণ হিয়া স্মরে জীবনের শত বাঁকে
হাতড়ে খূঁজে শুন্যতা মেলে খালি।।