অবাক বিস্ময়ে ছেলেটি তাকায় মেয়েটির পানে
বৃষ্টিস্নাত কোন ফোটা কামিনী সৌরভে  দােলে
যেন হর-পাতার আবডালে তার মানস কাননে,
গহণ অাঁধার কালো ডাগর তার চোখের তারায়
পদ্মার স্রোত-ঢেউ পলকে গতি ভুলে থেমে যায়
নীহারিকা হারায়ে দিশা স্থির হয় নিথর মননে।


বিস্ময়ের বলয় ছিঁড়ে পিছু নেয় ঘর ভােলা মন
হাসির খেয়া বেয়ে দূরদেশে পাড়ি দেয়া স্পন্দন
ধড়ে ফেরায় স্বপ্নাবতী মেয়েটির হাতের কাঁকণ,
রিনঝিন উঠে বেজে যেন কেহ সেতারের তারে
অচেতন খেয়ালে রেখে অচেনা রাগিনীর তান
সাধিছে নতুন করে নব আবেগে সুর বারেবারে।


অচেনা নতুন গায়ে পথধরে হেঁটে যায় মোহিনী
মোহিত ছেলেটি চোখভরে রূপ নেশা করে পান
আকাশের গায়ে নেমে আসে অন্ধকার আবরনী,
দূরপথে যেতে যেতে কুয়াশায় মিলায় তার কায়া
স্তব্দ সময় এসে ভর করে মেটো পথের সীমানায়
কােলাহল শুধু শুন্যতায়, এ এক নতুন মোহমায়া।।