ক্ষুধিত আকাশ গিলিছে আলোরে
নিঝঝুম চারিপাশ,
কল-কোলাহল মিলিয়াছে কোথা
যেমনি মৃতের শ্বাস।
পথে পথে হাঁটি, জিরোই খানিক
ফের ফিরে চলি পথে,
তারারা জ্বলে ঝিকিমিকি দূরে
আকাশ নোলক-নথে।
ক্লান্ত শরীর, ঘুমহীন চোখে
ছায়া ফেলে শূকতারা,
ঊষা-রাঙা আলো টানিয়া ফেরে
পূনঃ পথে করে তাড়া।
ছুটিয়া চলিতেছি নগরে নগরে
প্রান্তরে, দ্বারে-দ্বারে,
কোথা পাই ছায়া তাপিত প্রাণেরে
জুড়াইতে একটি বারে।
মমতা-মোহের মনি-মানিক্যে
সাজাইতে হৃদি ধরা,
বণিক হইয়া ঘাঁটে ঘাঁটে ফিরি
বিকাইতে মন-ঘড়া।
পিপাসিত বুক হাহাকারে ভরে
তৃষ্ণায় রোধে বাণী,
বেদনার সুধা- সূরায় উপচে
রিক্ত গোলাপদানী।
করিয়াছি শীতল জলের সন্ধান
ঢালা ভরা হীরা-মতি,
দেখি নাই তোমার বুকেতে নীরবে
বহিছে অমরাবতী।


তুমি নিভৃতে গাঁথিয়াছ মাল্য
সূঁচে-ডোরে মন গাঁথি,
হিয়ার কোঠরে সাজাইয়া আসন
স্বপন করিয়া সাথী।
আমি বিবাগী, করি ভাগাভাগি
নিরাশার অহমিকা,
তুমি মহাময়ী গোপনে গড়িছো
স্বর্গের কিরীটিকা।।