বাঁশরীয়া... তুমি বাজাও তোমার বাঁশী
উতল করা বিষাদী সুর, করুণ-সর্বনাশী
তোমার সুরের নবধারা
করুক যতই দিশেহারা
যতই হানে আঘাত সে হৃদয় দ্বারে আসি
বাঁশরীয়া... তুমি বাজাও তোমার বাঁশী।


বাঁশীর বোলে উঠুক যতই আমার প্রাণে ঝড়
নিশিত রাতের আঁধার বসন কাঁপুক থরথর
নিবিড় ব্যথার প্রতিধ্বনি
বাঁশীর তানে যতই শুনি
যতই বুনি বেদনার বীজ হিয়ায় নিরন্তর
বাজাও তুমি বিষাদী সুর, বিঁধুক প্রাণে শর।


জগৎজুড়ে আমার ব্যথার দোসর তোমার বাঁশী
আমার মতন শূণ্য হিয়ায় কাঁদন রাশি রাশি
আমার প্রাণের কথণ শত
উঠুক বেজে তা-ই অবিরত
আজ আশাহত হয়ে যতই নয়ন বানে ভাসি
বাজাও মোর ব্যথা দোসর তোমার বাঁশের বাঁশী।


বাঁশরীয়া কাজ কি তোমার ব্যথার খবর জেনে
নাইবা জানো কে সে কখন দুঃখ নিলে কিনে
কাঁদল কে জন কোথা বসি
ঘরভোলা কে, কে উদাসী
কে জনমের উপবাসী, কে যায় ভেসে বানে
কে জাগে রাত সয়ে আঘাত হৃদয় উচাটনে।


বাঁশরীয়া, অাঁধার যখন ঘনাবে মোর দেশে
নিরল ঘরে একলা একা রইবো আমি বসে
উঠবে তোমার বাঁশী গেয়ে
শুনবো আমি মগন হয়ে
অশ্রুজলে নয়ন নেয়ে জাগবো তারি আশে
গগণভেদী বাঁশির সুরে হারিয়ে যাবো শেষে।।