হাড়-কঙ্কালে ঘেরা ঘরে
হোমাগুনে ধূপ ছূঁড়ে,
রক্তবর্ণ আঁখি গোল করে
তান্ত্রিক মন্ত্র উচ্চারে।


শাণিত খড়গে, হাড়িকাঠে
আগুন ফুলকি বয়,
গর্জায় ক্ষণে জপনাম পাঠে
প্রসারিয়া বাহুদ্বয়।


আমরণ সিদ্ধি লাভে অারাধনা
দেবীপদে বলিদান,
মায়া-কায়া ত্যাজে এ সাধনা
ষোড়শীর তাজা প্রাণ।


নিরজনে নিভৃত বন-গহীণে
তান্ত্রিকে তন্ত্র আরতি,
চরসে চুর হয় ষোড়শী নবীনে
বলহীনা হিমানী মূরতি।


উদ্যত খড়গ হাতে, মন লোভাতুর
অমরত্বে সাধনার জয়,
কন্ঠ উছল, আঁখি নেশায় বিভোর
জড়া দেহ হবে অব্যয়।


বিষধর নাগবালা কুন্ডলী পাঁকে
ঝিমায় দুগ্ধপান সেরে,
অশঙ্কিত ভূপতির হাঁক-ডাকে
হেলার বাহুলতা ঝারে।


দর্পিত চরণতলে লাঞ্ছিতা ভূজঙ্গনা
মানলনা পদাঘাত-লেশে,
নিমেষে উঠে ফূসে উত্থিত ফণা
দংশে চরম আক্রোশে।


মরণে ক্ষান্ত হয় তান্ত্রিকের আশ
লোভের হোমাগ্নি নিভে,
বিষে নীল হয় নিদয়া অভিলাষ
মন্ত্র মিলায় আড়ষ্ট জিভে।।