শুনবে সবে? এসো তবে
নেইকো যাদের জানা,
খাঁদের উপর ফাঁদ পেতেছি
আজব এক কারখানা।
পথের ধারে রাত দুপুরে
গর্ত দিলাম খূঁড়ে,
গোবর জলে দিলাম গুলে
আধেকটা তার ভরে।
খড়কুটো আর পাতা লতার
ঢাকনা দিলাম পেতে,
কড়কড়া এক জাল করা নোট
তাতেই দিলাম গেঁথে।
সাত-সকালে গরুর পালে
বাগিয়ে লাঠি খানা,
চলল ক্ষেতে জোয়াল হাতে
ফরিদ মিয়ার নানা।
পড়ল নানার নজর সেথায়
কড়কড়ে ওই নোটে,
জোয়াল ফেলে রাস্তা ভুলে
সেদিক পানেই ছোটে।
ভাবল নানা কপাল খানা
ভীষণ রকম ভালো,
মুখ দেখে কার আজকে নানার
ফোটলো দিনের আলো!
এদিক ওদিক তাকিয়ে খানিক
আসলো খাঁদের পাড়ে,
পা ফেলতেই পড়ল তাতেই
ওমনি চটাৎ করে।
নানা গেল নোটও গেল
গোবর জলের তলে,
আঁড়াল থেকেই দৌড়ে পালাই
আমরা পাঁজির দলে।।