এই পথে পথে এখনো তার নুপুর বেজে উঠে
এ আলের ঘাস, বিজন বাতাস আজো মরে মাথাকূটে
কাঁদা মাটি ধরে তার পদরেখা কেঁদে কেঁদে হয়রান
যতো ঘাসফুল আকুল বিরহে নীরবে বিলায় ঘ্রাণ
যদি তার দেখা মেলে.....
ডেকে ফিরে ডাহুক কলমিবনে নয়নের জল ফেলে
গুনগুন করে গায় ভ্রমরী বেদনা-বিষাদী গান
খোলা প্রান্তর চকিত হয়ে আজো খাড়া করে কান
বুঝি যায় শোনা হাসির লহরী তার...
বেণী দুলাইয়া ওই বুঝি আসে এ পথে পুনর্বার
কচি হাতে ছিঁড়ে শাকপাতা গুলি আঁচলে লয় পুরে
ঝনঝন বাজে বেলোয়াড়ী চুড়ি, গুন গুন গায় সুরে
খড়ের গাদায় হেলান দিয়া হয়ে উঠে মশগুল
দূর্বালতায় বানায় অঙ্গুরী, ফুলে গড়ে কান-দুল
কাঁচা তেঁতুলের থোকা হাতে করে এপাড়া ওপাড়া ঘুরে
ফিরবে বাড়ী দুপুরের রোদে এই মেঠো পথ ধরে
দখিনের ডোবা-জলে........
কচুরীর ফুল ফুটেছে হাজার, রঙয়ের বাহারে দোলে
সেই ফুল-পাতা নীরবতা নিয়ে ভাষাহীন হয়ে রয়
দস্যি হাতের ছোঁয়া খুঁজে ফিরে মৃদুলা বাতাসময়
ফিরবেনা আর চঞ্চলা মেয়ে, দুরন্ত কিশোরী
ঘোমটায় টেনে সেই মুখ খানি হয়েছে দেশান্তরী
চেনা পরিজন স্বজন বিদায়ে চোখ মোছে নিরালাতে
জল ভরা চোখে গিয়েছে সে চলে অন্য আরেক পথে
নতুন ঘর, নতুন আঙ্গিনা পড়ায়েছে পায়ে বেড়ী
মেহেদীর রঙে ডুবে গেছে তার উজান গাঙের তরী।।