/////////////////////////////////////////////


এবার বুঝি খুললো রে কেউ পূবের দুয়ার খানি
স্তব্দ-গুমোট আঁধার ঘরে আলোর হানাহানি
নতুন আলোয় যাচ্ছে চেনা
কে আপন আর কে বেগানা
গলা ছেড়ে দিচ্ছে রে হাঁক জীবনের সন্ধানী
মাড়িয়ে জড়া জাগ্ রে তোরা শোনরে কালের বাণী।


মৃত্যুভয় আজ পিছন রেখে সম্মুখে ধর জান
নাকিসুরে মন না দিয়ে কর রে খাড়া কান
রক্ত-পুঁজের মাটি ফুঁড়ে
লোভী-লালার বিষ রে ঝেড়ে
আসবে বয়ে অমিয় ধারা শান্তি সঞ্জীবণী
এবার বুঝি খুললো রে কেউ পূবের দুয়ার খানি।


রক্ত ধারায় করতে শীতল তপ্ত মরুর বালি
ভুলে যা রে কে দিলো গাল কে দিলো হাততালি
শকূন-বাঁজের ঠোকর সয়ে
মরার মতন থাকবি শুয়ে
কাঁদবি যতই কেউ দেবেনা মুছিয়ে চোখের পানি
এইতো সময় বারুদে তোর আগুন দে এখুনি।


সোনা বলে দস্তা-পিতল গছিয়ে দিলো কে সে!
সময় এবার কর রে যাচাই কষ্টিপাথর ঘঁষে
ভুঁয়া-শান্তির ধোঁয়া তুলে
শান্তি মিছের শিকোয় ঝুলে
ঢাকনা খুলে দেখ্ রে ভেতর ফুঁসে কেউটে ফণি
বৃহস্পতি তাদের করে, তোর কপালেই শনি।।