বই হাতে ঝিমুচ্ছি চেয়ারে
পাতায় দাগ কাটার বাতিক
তিন আঙুলের ফাঁক গলে মহাকর্ষের
সংজ্ঞার মাহিত্ব বজায় রেখে ভূলুণ্ঠিত কলম
এ জগতের বায়ু সেবনে নিমগ্ন দেহ
অন্য জগতের সাদা-কালোয় নিমজ্জিত আত্মা
যাকে বলি স্বপ্ন-
স্বপ্নগুলো কেন যে সাদা-কালো হয় আমার!
আবছা আলোয় তোমার মুখচ্ছবি, অদ্ভুত সুন্দর!
দেখা পূর্ণ হলোনা..ধপাস্‌ শব্দে বইখানা স্থানচ্যুত
স্বপ্নটাও তার বরাবর
অস্পষ্ট ব্যথার লেপন মনের আদি-অন্ত জুড়ে
কেউ আমায় তোমাকে ভাল করে দেখতে দেয়না
শব্দ, আঘাত, ব্যথা, অপমান, হতাশা
দিনের আলো, রাতের আঁধার, সকলের বাধা
তোমাকে প্রাণ ভরে দেখার সাধও বাধ সাধে
পিপাসা জলের ছোঁয়ায় আরো প্রকট হয়
ছটফট করি অতৃপ্ততায়
নিজেকে চূর্ণ বিচূর্ণ করে গুড়িয়ে দিই
তবু হায়! প্রতি চূর্নে অতৃপ্ততা জাগে
চিৎকার করে উঠে প্রাণ
মনের আরশিতে ছায়া ভেসে উঠে ফের
তুমুল অতৃপ্ততায় তোমায় দেখি
দখিনা বাতাসে সাদা-কালো ওড়না উড়ে
কপালের কালো টিপে রাত্রি নামে
হাত বাড়াই, ছুঁতে চাই..
হাতের বইটি ফের স্থানচ্যুত হয়
ফিরিয়ে নিয়ে আসে তুমিহীন দুঃসময়ে।।