দুপুরের শুন্য বন্দর কুকুরগুলোকে বিষাদ বিলিয়ে ঘুমিয়েছে,
পিক্সেল এর লাল বাতি,
কার্তিক এর পরিবর্তনশীল আকাশ,
আর সিনেমার তীব্র লাইটিং,
হয়তো এই স্ক্রিপ্টটা আমাদের,
হয়তো না ।

মরচে ধরা ‘নিষিদ্ধ’ সাইনবোর্ডটার নিচে আমি দাঁড়ালাম,
আজ অবশ্য ও জিজ্ঞেস করলো না
"কে?”
আমি নাকি তুমি,
কোনো প্রত্যুত্তরও পেলাম না,
কিন্তু তার চার হাত নিচে,
ভাঙা ভেজানো দরজার ফাঁকে,
আরো একটি সাদারাতের জন্য আমাকে চাওয়া তেমার চোখে,
দেখলাম
আমি শুধুই একটি রোদেভেজা কাক,
আর ওপারে তুমি,
তোমার লাল শাড়ী,
পা ভেজানো আলতা,
এপাড়ে আমি,
বিগত রাতগুলোর রাগ ভাঙাতে আনা সিঁদুরএর নতুন কৌটো,
আমার ঘর্মাক্ত শার্ট ; বয়ে আনা চিতার ঘ্রান,
তোমায় শেষ দেখবো বলে।

ঊর্মি,
তোমাদের ক্লান্ত চোখে আমাদের সাদা রাতগুলো আজ নীলচে,
আমার ম্যাট্রিকাল,
তোমার চাওয়া লিনিয়ার,
ব্যুরোক্রেটিক পিঁপড়েদের জীবন;
ফুরিয়েছে বহু আগে।
আমাদের এই নবীন নক্ষত্রের কোলে,
অ্যালবাট্রস পাখিরাও ঝরে গিয়েছে গত আশ্বিনে।
আর আগত রাতগুলোর স্বঘোষিত কর্মবিরতির দায়;
আমার কিংবা তোমার নয়,
আমার পাশের অগণিত বেজে যাওয়া বিপিং অ্যালার্ম
আর বোকা মনিটর স্ক্রিন এর।