আজানের সুর কেন এতো ভালো লাগে,
সুরে সুরে ঈমানের ঢেউ হৃদে জাগে।
প্রতি ক্ষণে পৃথিবীর প্রতিটি কোণায়,
যত শুনি তত আহা মধুর শোনায়।


আজানের সুরে বলি আল্লাহ্ মহান,
কত নেয়ামত তিনি করেছেন দান।
না চেয়েও যে পেয়েছি নেয়ামত বহু,
ধমনীতে টগবগে ছুটে লাল লহু।


আজানে আজানে মোরা স্বাক্ষী দিয়ে যাই,
একক মাবুদ তিনি শরিকানা নাই।
অদ্বিতীয় প্রভু তিনি নেই সমকক্ষ,
কোটি কোটি সৃষ্টি মিলে গাহি গুণ লক্ষ।


আকাশে বাতাসে ভাসে আজানের সুর,
হৃদয়টা উড়ে মোর যায় বহু দূর।
উড়ে উড়ে বহু দূরে যায় মদীনায়,
সালাম জানায় গিয়ে প্রিয় রওজায়।


আজানে আজানে ফের স্বাক্ষী দেই সবে,
মুহাম্মাদ আল্লাহর রাসূল এ ভবে।
আল্লার রাসূল তিনি শেষ নবী ভাই,
তাঁর পরে পৃথিবীতে আর নবী নাই।


এসো ভাই মিলেমিশে চলি তাঁর পথে,
তবেই পাবো জান্নাত প্রভু রহমতে।
তাঁর আদর্শে জীবন চলো গড়ে তুলি,
অন্যায়ের পথ যত এসো সবে ভুলি।


আজানের সুর শুনে নাচে তনু-মন,
ইচ্ছে জাগে প্রভু ধ্যানে থাকি সারা ক্ষণ।
নিয়তের মাঝে যদি রাখি তাঁকে আজ,
পূণ্যে পূণে ভরে যাবে দুনিয়াবী কাজ।


ছন্দে ছন্দে দিয়ে যাই কবিতা-আজান,
হৃদ কানে এই সুর আপনি বাজান।
অনুভবে দেখবেন লাগবে যে ভালো,
হৃদয়ে উঠবে জ্বলে ঈমানের আলো।


              _____♦_____


অক্ষরবৃত্ত ছন্দ ৮+৬


রচনাঃ- ৩০ / ৭ / ২০২১ ইং
শুক্রবার রাত ৯ঃ৫১ pm
মেরুল বাড্ডা, ঢাকা।