একদিন তোমার কাছে এসে সবার যাত্রা শেষ হবে;
তুমি হবে সকলের প্রিয়পাত্র, মধ্যমণি, ভরসার শেষ আশ্রয়স্থল!


একদিন তুমি যেমন ছুটে যেতে তোমার বাবার কাছে -
অবসরের সময়গুলো নিবিড়ভাবে একান্তে কাটানো ছাড়াও শেকড়ের কাছাকাছি থাকতে,
দোয়া নিতে ছুটে যেতে দাদা, নানা কিংবা দাদী, নানীর স্নেহের ছায়াতলে....  
অথবা থাকে যদি কেউ আরও ওপরের...
বড়ো বাবা, বড় মা.....!!!  


এভাবেই একদিন তোমার কাছেও ছুটে আসবে তোমার অধস্তন কেউ -
তাদের মাথায় বয়সের ভারে নুব্জ্য জীর্ণশীর্ণ কাঁপতে থাকা তোমার প্রাচীন হাতের স্নেহময় ছোঁয়া নিতে -
তোমার আধো ভাঙা কন্ঠের দোয়া নিতে!


তুমিই তখন তাদের বংশের সবচাইতে বয়োজ্যেষ্ঠ প্রবীণ প্রদীপ -
ধিকিধিকি যে প্রদীপ আলো ছড়িয়ে চলেছে শতাব্দী ছুঁই ছুঁই করে -
অথবা এক শতাব্দীকাল পেরিয়ে নতুন শতাব্দীর পানে!
তোমার ওপরের শেকড়ের সন্ধান তখন আর কেউ করবে না!
খুঁজে দেখবে না তোমার আশপাশটা!


তুমিই তখন তাদের পৃথিবীর একমাত্র জীবন্ত অশ্বত্থ!
যুগ যুগ ধরে যে ছায়া দিয়ে রেখেছে পৃথিবীর ভেতর ছোট্ট আরেকটা পৃথিবীকে।


এভাবেই যুগে যুগে পৃথিবীর দিকে দিকে ছড়িয়েছে মানববসতি -
যুগে যুগে দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়ছে প্রতিনিয়ত!


রক্তের বন্ধন ছাড়া -
কেউ কারও খোঁজ রাখে না!


           ______♦______


রচনাঃ- ১৫ / ৯ / ২০২৩ ইং, শুক্রবার।
মেরুল বাড্ডা, ঢাকা।