হাতটা খোলা বুক দেখা যায় ঢাকা শুধু মুখ,
মনগড়া এই পর্দায় তুমি কি পাও এমন সুখ!
শোনো মেয়ে প্রশ্ন করি উত্তর দিয়ে যাও,
হ্যাঁ! তোমাকেই বলছি শোন, বারেক ফিরে চাও।


খোলামেলা এমন পর্দা কোথায় পেলে হায়,
এভাবে মন পর্দা করতে ক্যামনে দিলো সায়!
রাগ কোরো না বলছি তোমায় শোনো প্রিয় বোন,
দুঃখ লাগে দেখলে এসব ভার হয়ে যায় মন!


পর্দা প্রভুর ফরজ বিধান হয় না তাহার তুল,
যেমন করে মানছো সেটা পদ্ধতিটা ভুল!  
এমন করে ঢাকো শরীর সমান দেখায় সব,
গড়ন গঠন বোঝা গেলে বেজার হবেন রব।


নারী তুমি শয়তানেরই সর্বপ্রধান ফাঁদ,
তোমায় দিয়ে করলে শুরু আর থাকে না বাদ।
হাদীস বলে নারী হলো শয়তানের এক তীর,
অব্যর্থ সেই তীরাঘাতে ব্যর্থ ফকির-পীর।


নবীর কথা পাও নে ব্যথা এ নয় অভিশাপ,
নারী তুমি নম্র হলেই ভীর করে সব পাপ!
তোমায় দিয়ে শয়তান দেখায় পর পুরুষে লোভ,
সঠিকভাবে করো পর্দা আর ঝেড়ো না ক্ষোভ।


সবটা ঢেকে মুখটা খুলে দেখাও যদি রূপ,
দরবেশেরও কোমল মনে জ্বলবে পাপের ধূপ!  
ধূপ আগুনে ধাউ ধাউ আগুন একবার জ্বললে হায়,
পীর-ফকির আর গাউস-কুতুব সবাই জ্বলে যায়।


সুন্নাহ্ মেনে পর্দা শিখতে শেখো দ্বীনের জ্ঞান,
মোরাকাবায় বিশুদ্ধ হও ছাড়ো পাপের ধ্যান।
ফিরে আসতে অসৎ সঙ্গ করো তুমি ত্যাগ,
সঠিক পথে চলতে তখন আর পাবে না বেগ।


তাই অনুরোধ রেখে গেলাম মনটা করো ঠিক,
অন্তঃপুরের রোগটা সারাও দিও না গো ধিক।
রিয়াজত আর মুজাহাদায় অন্তর করো সাফ,
খাঁটি দিলে তওবা করলে আল্লাহ্ করবেন মাফ।


            _____♦️_____


রচনাঃ- ৫ - ৬ / ৮ / ২০২৩ ইং, শনিবার ও রবিবার।
ডি আই টি প্রজেক্ট, রোড নং - ১৬ এবং ৫, মেরুল বাড্ডা, ঢাকা।


কবিতাটা লিখতে দু'দিন সময় লেগেছে, ৫ তারিখ শনিবার রাত ৯ টায় যেই বাসায় পড়াতে গিয়েছিলাম, সেখানে সাড়ে রাত ৯ টা থেকে লেখা শুরু করলে সেই বাসায় (১৬ নম্বর রোড) ১০ লাইন লেখা শেষ হয় আলহামদুলিল্লাহ্। তারপর নিজের বাসায় (৫ নম্বর রোড) এসে অবশিষ্ট লেখা লিখতে লিখতে ৬ তারিখ রবিবার রাত ১২ টা ১৬ তে লেখা শেষ হয়।
ছুম্মা আলহামদুলিল্লাহ্।