আমাদের এই পদ্মা বহে ধীরে ধীরে,
ছোট বড় গ্রাম আছে তার দুই তীরে।
প্রতি রাতে আসে তার জোয়ার ও ভাটা,
গ্রীষ্মে পড়ে পদ্মা বুকে রোদ কাঠ ফাটা।


পাল তুলে মাঝি বায় নৌকাটা তাহার,
ছাউনিতে দেখো তার কত না বাহার।
স্বদেশী বা ভীন দেশী কর্ম পানে ধায়,
শত শত কত যাত্রী আসে আর যায়।


আপন গতিতে পদ্মা বহে কুল কুল,
পদ্মা তীরে কত শত ফুটে আছে ফুল।
পদ্মা চরে কত ছেলে দল বেঁধে খেলে,
খেলা ছলে কত স্মৃতি রেখে আসে ফেলে।

দিন-রাত ডিঙি চড়ে মাছ ধরে জেলে,
মনের মাঝেতে কত স্বপ্ন ডানা মেলে।
জাল ভরে মাছ নিয়ে জেলে যায় বাড়ি,
আশা ভরা বুক দেখে দুখ নেয় আড়ি।


পদ্মা জলে সেচ দিয়ে চাষ করে চাষি,
মাঠ ভরা শস্য দেখে ঠোঁটে ফোটে হাসি।
দূর হতে ভেসে আসে রাখালের বাঁশি,
বাতাসেতে ওড়ে যেন সুখ রাশি রাশি।


বর্ষাকালে পদ্মা যেন দুকূল ছাপায়,
আঘাতে আঘাতে হায় অন্তর কাঁপায়।
এমন আঘাতে কত ভেঙে যায় ঘর,
স্বপ্নগুলো ভেঙে যায় হয় নড়বড়।


রাতারাতি কত স্বপ্ন পদ্মা খায় গিলে ,
বুক ভাঙা চাপাকান্না বিঁধে গিয়ে দিলে।
ভাঙা আর গড়া তার চিরন্তন খেলা,
এই খেলা দেখে দেখে কেটে গেল বেলা।


আপন গতিতে পদ্মা নিরবধি বহে,
কলকল রবে কত কথা যেন কহে।
শত বছরের স্বাক্ষী এই পদ্মা নদী,
ভালো হতো বুঝিতাম তার কথা যদি।


            _____♦_____


অক্ষরবৃত্ত ৮+৬


মেরুল বাড্ডা, ঢাকা।