দেখি আকাশ-বাতাস দেখি এই মাটি,
সাজানো তা কত রূপে কি যে পরিপাটি।
দেখি নদী খাল-বিল ঝরনার রূপ,
প্রকৃতির প্রেমে পড়ে হয়ে যাই চুপ!


কলকল রবে ওই নদী যায় বয়ে,
ভাঙনের খেলা তার লোকে যায় সয়ে।
ওপারেতে গড়ে ফের ধূ ধূ বালুচর,
তাই দেখে স্বপ্ন কত চোখে করে ভর।


কখনো বা ঝড় ওঠে তছনছ হয়,
এও এক প্রকৃতির রুদ্র পরিচয়।
বৃষ্টিতে কখনো বা মাটি হয় সিক্ত,
প্রকৃতির কোনো রূপই লাগে না তিক্ত।


নিরিবিলি প্রকৃতির হৃদ্-ধুকপুক,
চুপচাপ শুনে যাই পেতে কান বুক।
কত কথা প্রকৃতি যে চুপিসারে কহে,
ইথার-পাথারে তাহা নিরবধি বহে।


প্রকৃতির সেই কথা বোঝে কোন্ লোকে,
যে বোঝে সে কাঁদে হায় প্রকৃতির শোকে।
নেই আর প্রকৃতির মূল সেই সত্তা,
নিজ হাতে কিছু লোকে করিতেছে হত্যা!


প্রকৃতি কাঁদিয়া কহে, ওরে ও নির্বোধ,
জনমের তরে আর হবে না তা শোধ!
গাছ কেটে খাল ভরে গড়ে কারখানা,
প্রকৃতির নিজ গতি করে দিলি ফানা!


প্রকৃতির এই কান্না অরণ্যে রোদন,
উন্নয়ন রোধে আর হবে না শোধন!
তাই আজ প্রকৃতিটা ক্ষেপেছে ভীষণ,
কে জানে কি হবে তার পরের মিশন!  


                 _____♦️_____


রচনাঃ- ৫ / ৭ / ২০২৩ ইং, বুধবার
তেওতা, মানিকগঞ্জ।