"আজকে কত তারিখ?"
আজকের তারিখ জানি।
প্রশ্নের উত্তরে বললাম আজকের তারিখ।
কিন্তু উত্তর শুনে হাসি দিয়েছেন-
পৃথিবীর সেরা মানুষ।


আমাকে জানালেন, "তুমি ভুল।"
অবাক হয়ে চেয়ে রই তার পানে!
"আজকে বাংলা কত তারিখ?"
বাংলা তারিখ জানি না!
জানালেন আজকের বাংলা তারিখ।


বেশ মনোযোগে শুনি তার বাণী।
আমরা বাংলার মানুষ, আমাদের তারিখ চলে বাংলায়।
গ্রামের সহজ প্রাণে বর্ষপঞ্জি চলে বাংলায়।
সেরা মানুষের মা বৃদ্ধ মানুষ,
তারিখে তিনিও বলেন বাংলা।


ছেলেবেলা থেকে বর্তমান-
বৈশাখ মাসে মেলা, খেলনা, পান্তা-ইলিশ,
কেউ বা পান্তা, পেঁয়াজ, মরিচ নিয়ে বসে।
শুভ নববর্ষ বলে একদিনের বাঙালি হয়ে যাই।
অনিয়মিত বাঙালি বাংলা তারিখ জানি না!


অভিজ্ঞতা থেকে বলি-
কৃষক দেনা-পাওনার হিসাব করে বাংলা মাসের পরে।
অগ্রহায়ণ মাসে পাকা ধানের গন্ধে ভরে যায় বাংলা।
অষধা নক্ষত্র থেকে আষাঢ়-
চোখের সামনে ঘন কালো মেঘ ভেসে বেড়ায়।


নতজানু হয়ে কুর্ণিশ করা থেকে-
সাহেবদের মাতামাতিতে আমরা সাহেব বনে গেলাম!
আত্মপরিচয়ের সন্ধানে হীনমন্যতা।
আত্ম জ্ঞানের স্রোতধারায় স্নান না করে হই গ্রাজুয়েট।
আবার আব্বাসের বন্ধু-
নূরলদীনের কণ্ঠ ভেসে আসুক বাংলায়।


অন্য সেরা মানুষ বলেছিলেন-
বৃক্ষের শিকড় যেমন গভীরে ছড়িয়ে যায়,
তেমন ভাবে আত্মপরিচয় সন্ধান করো।
আত্মপরিচয় যতবেশি আহরণ হবে-
বিশ্বে আমার বাংলা ততবেশি মজবুত হবে।


তাই আসুন সকলে-
একদিনের জন্য বাঙালি না হয়ে
আত্মপরিচয়ে বাংলা যেমন আছে,
সেই বাংলাকে ধারণ করে সমৃদ্ধ করি।
সেই ধারণ করা শুরু হোক বাংলা তারিখ থেকে।


~ মুহাম্মদ আল ইমরান।