একটা ফোন নম্বর থেকে কল আসত,
এখন আর কল আসে না!
হঠাৎ একদিন কল দিলাম।
অপর পাশ থেকে সহজ কণ্ঠে-
হ্যালো কে বলছেন?
আমি পরিচিত মানুষের কাছে পরিচিত দিতে আগ্রহী নয়। তাই কোন নাম বললাম না।
আমি অতি কথা বলি
তাই নিজেকে সংযত রাখি বর্তমানে
ফোন দেয়ার কোন প্রশ্ন ওঠে না যদি না অতি গুরুত্বপূর্ণ কাজ না থাকত।
অতঃপর পরিচয় না দিয়ে কাজের কথা সূচনা করলাম।
এই কথার শেষ।
আমাদের কথা বলাও শেষ।
আর কোন ফোন দিব না, এটাই শেষ।
হঠাৎ একদিন বেলা দুপুরে পরিচিত নম্বর থেকে কল।
কোন ব্যস্ততা নেই। তবুও নিজেকে ব্যস্ততায় ফেলে রাখা।
ফোন আর ধরা হবে না বলে নিজেকে বুঝালাম।
কিন্তু এ কেমন মন আমার তার অপেক্ষার কাছে সব বুঝ তুচ্ছ।
ফোন ধরলাম।
দুপুরে খেয়েছি কিনা জানতে চায়!
ভালোবাসায় যত্নের শেষ পর্যায় হলো একে অপরকে খাবার খাইয়ে দেয়া,
এক প্লেট, এক খাবার শেয়ার করে খাওয়া।
এক সঙ্গে দুপুরের খাবার খেয়ে, এক সঙ্গে গল্প করা।
আচ্ছা
আমার নম্বর কি ভুলে মুছে গেছে?
"না।"
তবে? এ প্রশ্ন তাকে না করে নিজেকে করলাম।
উত্তর পেলাম।
বেশ কিছুদিন নিজেকে নিঃসঙ্গ রাখতে গিয়ে তার কোন ম্যাসেজের উত্তর দেইনি।
কিছুদিন পর ম্যাসেজে তাকে কোন গুরুত্ব দেইনি।
তবুও
আমি তাকে ভালোবাসি।
আমাদের ভালোবাসা সমস্ত পৃথিবীর মাঝে।
এখন নিজেকে প্রমাণ করার জন্য তার পানে চেয়ে থাকি।
আমাদের দুপুরের গল্প বিকালে এসে পৌঁছাল।
তবুও তার পানে তাকানো শেষ হবে না।
জীবনের তার প্রতি কৃতজ্ঞতা শেষ হবে না।
তারিখ: সোমবার, ২রা আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৬ই জুন ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ।
কবিতা: হ্যালো কে বলছেন?
লেখক: মুহাম্মদ আল ইমরান।