বাবরির মিনারে আজ হিন্দু পতাকা!
ভেতরটা আজ নগ্ন, বড় মূর্তি রাখা।
বাবরি আজ হয়ে গেছে রামের ঘর।
কী যেন ভেবে কেঁপে ওঠে গজনি শহর!
মাহমুদ বলে, ভেবো না তুমি আমাদের দুর্বল!
সোমনাথ তুমি ভুলে গেছ কি পাপের ফলাফল?
আমার ধর্ম শেষ করে বিশ্বজয় করবে বলে-
বাহিনী তোমার তৈরি হয়ে চলে এলো দলে দলে।
আমরা মাত্র তিন হাজার আর তোমরা লক্ষাধিক ছিলে।
মাত্র তিন হাজার! তবুও আমরা তোমাদের খেয়েছি গিলে।
আমার ভূমি আজ বিস্তর, তোমার ভূমি কই?
খণ্ডবিখণ্ড ভারত-ভূমি ওই দেখা যায় ওই।
এখানেই আজ কী যেন ভেবে থেমে গেলেন মাহমুদ!
এখনো অনেক বাকি রয়ে গেছে, ফুরায়নি প্রতিরোধ।
ইতিহাসে আজ জেগে উঠলো খিলজি বংশধর!
ঠান্ডায় নয়! ভয়ে ভারত কাঁপছিলো থরথর।
নিশান-বরদার নিয়ে আসছে যে দল আলাউদ্দিন খিলজির।
সেদিন যেন প্রমাণ হয়েছিল কারা ভীতু, কারা বীর।
সোমনাথ ধ্বংস হয়েছিল, খিলজির হলো বিজয়।
এমন বিজয় কেবল আসল বীরেদের দিয়েই হয়।
ঢাকা পড়ে গেছে সেইসব দিন, ঢাকা পড়ে গেছে ইতিহাস।
পাঞ্জেরি তুমি বলে দাও আজ পেরোলো তার কয় মাস?
আজ দেখ ওই হিন্দু-নিশান উড়ে বাবরির মিনারে।
জল নয় কোনো, রক্তের ঢেউ উঠে নদীর কিনারে।
বন্ধ-কারাগার হয়ে গেছে আজ ধরণির জান্নাত কাশ্মীর!
এসব পরেও আত্মা কাঁপেনি আলাউদ্দিন খিলজির?
রক্তের স্রোতে দিচ্ছে দেখি নরপিশাচ অট্টহাসি!
হে মুসলিমিন! চেয়ে দেখ আজ ফের বিপদে ভারতবাসী।
আমাদের ঘর জ্বালিয়ে দিচ্ছে অমানুষের দল!
আমাদের ঘর করে নিয়েছে জালিমেরা দখল।
মূর্তিতে আজ ভরে গেছে দেখি খোদার পবিত্র ঘর।
জানি না আমি আজ কিবা কাল কী হবে খানিক পর!
কী আর করি! আমি শুধু কাঁদি- হে খোদা দয়াময়!
তোমার ঐ ঘরখানি যেন আবারও পবিত্র হয়।
“সত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে” শুনতে যেন পাই।
মূর্তিগুলোর হয় যেন প্রভু পায়ের নিচে ঠাঁই।