তুই নেতা হ—
গাড়িতে উঠে হাত নাড়া, ক্যামেরার সামনে হাসি,
ফেসবুকে ফ্রেম ঘেরা ছবি,
আর আমি?
সড়কে রক্ত দিয়ে শিখে যাই,
কীভাবে “সংগঠক” বানায় কবরের পথ।
তুই মঞ্চে, আমি মাঠে—
তুই মাইকে চিৎকার করিস,
আর আমার গলা পিষে দেয় রাবার বুলেট।
তুই হোটেলে বৈঠক করিস,
আমি ভাত জোগাড় করতে নেমে পড়ি ঝুঁকির মুখে!
তুই ছবি দিস পোস্টারে—
আর আমি পড়ি পোষ্টমর্টেমে!
তুই হেঁসে বলিস, “ভাই, আন্দোলন সফল”—
আমি কবরে শুয়ে শুনি,
আমার রক্তের ওপর তুই বিল্ডিং তুলছিস!
তুই নেতা হ—
তোর ব্যাচ চেইন হয়,
আর আমার ব্যাচ হয় টার্গেট।
তুই সামনে পুলিশ আনিস,
আর আমার বুক চিরে চলে যায় ট্রিগার।
তুই যখন শ্লোগান দিস,
তুই জানিস, তুই বাঁচবি—
আর আমি জানি, আমিই মরব।
তুই নেতা হ, ভাই—
তুই উড়িস পতাকায়,
আমি পোড়ি মশাল হয়ে।
তুই নেতা হ,
আর আমি?
আমি মরছি ভাই—
মরেও যেন তোকে জিজ্ঞেস করতে পারি,
"আমার লাশ কি তোর পায়ের সিঁড়ি হলো?"