অম্বরে ঐ ঘনকালো পয়োধর
ডাকিয়া আনিছে কি?
বারিসের হিংস্র থাবা
নাকি বরষার বান-সর্বনাশী।


তটিনীর অপ ফুলিয়া ফেপিয়াছে
শত রোষানল পড়ে,
লোকালয়,তট ডুবিয়াছে আজ
সলিল অথৈ হয়ে ভরে!


বানের লহরী পুড়িয়াছে পেটে
উঠান, ঘর আর দুয়ার,
ললাট ঘামিয়াছে জনের
বলিছে, ঈশ! কি হইবে এইবার?


ক্ষেতের ফসল পালিয়াছে ঐ
স্রোত, তরঙ্গ ধরে;
চারিপানে হাহাকার
কেউবা খুজে আহার,
শেষ সম্বলটারে!


টোয়ায় ঠেকিয়াছে জল
মানুষের ঠাঁই কই তবে?
নৌকায় বাধিয়াছে ঘর
ভেলায় গৃহের পশু-পাখী সবে।


তটিনীরা আজ পাল্লায় নামিয়াছে
বৈভব কাড়িবে নাকি সব ই!
ভুজগ আজ ধরিয়াছে ফঁণা
দংশিয়া আনিবে
তিমির সমেত বহ্নি।


এপানে প্লাবন তো
ওপানে দ্যুলোক চপলার খেলা,
না খেয়ে মরিছে মানুষ
শেষ নাহি হয় এ নিঠুর বেলা!


উনুনে বসিয়াছে হাড়ি ঐ নৌকায়
আধো নিভো জ্বলিছে ভেজা কাষ্ঠ কুড়ো,
আদৌ চাউল রহিয়াছে কিনা হাড়িতে
তবু তীর্থ-কাক ক্ষুধাতুর মুখগুলো!


ক্রোড়ের শিশু লইয়া মা
পারাপার গলা পানি ধরে;
কি নির্মম দৃশ্য! ওহে বিভু
বাঁচাও তাহাদের
সিজদাহ তোমা তরে।


লোকালয় কে দাও প্রাণ
ভূমিকে ফিরায়ে দাও মাটি,
বানের জলকে করো উধাও
গলেতে মিলে সবে বাঁচি!


ওহে জগদীশ!
তুমিতো ভগবান,
চাঞ্চল্য দাও ফিরায়ে মোদের
ফিরায়ে দাও প্রশান্ত সকল প্রাণ।