ক্ষুধাতুর দুচোখ
ক্লান্ত শরীর ভারে ভারে,
উনুনে হয়তো উঠেনি হাড়ি
তবুও না যায় কারো দ্বারে দ্বারে।


চিত্ত আর্তনাদ শুনাবেনা কাউকে
নিজেই জ্বলবে অন্তর্দহনে,
মধ্যবিত্ত তারা!
ভবের সবচেয়ে অসহায় শ্রেণী;
বুক ভাসায় চক্ষু রোদনে।


ধনীর অহমিকা বিত্ত বিভবে
বুক চেতিয়ে চষে,
গরীব বাঁচে সদা জরাজীর্ণতায়;
কিন্তু মধ্যবিত্ত বাঁচে
সম্মানের হিসেব কষে।


হাত পাতেনা কভু তারা
যদিও মরে শত অনটনে,
বিধাতার নাম জপে বাঁচে তারা
নিয়ে সম্মানের হিসেব মনে মনে।


আজকের দুনিয়া ব্যস্ত সদা
ধনীর অনুদানের খবর কিংবা
গরীবের সাহায্য গ্রহণের ছবিতে,
কেউ কি নিয়েছে খোজ মধ্যবিত্তের
যারা মুখ লুকিয়ে কাঁদছে
পরিবার সমেত নিজ ঘরেতে।


বাচ্চাগুলো কাঁদছে কিছু চেয়ে
কি করবে অসহায় বাবা?
গৃহিণীও আজ বড্ড অসহায়
মধ্যবিত্ত যে তারা!


বোবা প্রাণীগুলো যেমনি পারেনা বুঝাতে
তার চাওয়া, আর্তনাদ;
মধ্যবিত্ত মানুষগুলোও এমন
শত ব্যথা, ক্ষুধাতুর পেটে
কাটিয়ে দেয় দিবা রাত।


কেহ কি নেয় খোঁজ?
কেমনে কাটছে মধ্যবিত্তের
নিত্য দিবা রাত!
আছে কি ঘরে নিত্য প্রয়োজনীয় সব
পেটে পড়েছে কি ভাত!


ওহে বিধাতা!
প্রশ্ন তোমার তরে,
কত শত মোদের
পাঠালে মধ্যবিত্তের ঘরে?


আজকের এ বোবাকান্না
নয়তো আমার একার,
সকল মধ্যবিত্তও শামিল এ রোদনে
উপশম যদি মিলে এ ব্যথার।