তোকে আর মনে পড়ে না
আছি যে অনেক সুখে ,
ভালবাসতে এখন ভয় জাগে
যদি আঘাত পাই এই বুকে ।
কত সুমধুর স্মৃতি গুলো
আজ কড়া নাড়ে দু চোখে
বুঝতে পারলাম দুঃখ জেগেছে
বেঈমান বৈশাখের আগমন দেখে
কোন কিছুর বিনিময়ে নয়
ভালবেসেছিল প্রিয়া জোড় করে
বুঝিনি সেটা প্রেম ছিল না
বিষিয়ে গেল মন সেই আদরে ।
সুখের সংবাদ ছিল যে একটা
নুরের মুখে সু হাসি দেখে
নতুন অতিথি ডাক দিল তাকে
মিষ্টি সোহাগ মেখে ।
মনের মাঝে কত পরির আনাগোনা
সামনে বিচরণ সবখানে সর্বত্র
বুঝিনা , আর বুঝতেও পারিনা
কে আসল আর কে পবিত্র ?
আজকের আমি যে অন্য কেউ
চোখে লাগে না কোন ললনার হাসি
রুপের অপ্সরী ব্যর্থ হয় , যদি বলে
হে মানব “আমি যে তোমায় ভালবাসি ” ।
কোন সীমানা পেরোতে না পেরে
সীমার জন্য করি অভিনয়
কষ্ট - দুঃখ দিতে চাইনা
করে অবাধ্য মিথ্যা প্রনয় ।
ক্ষমা চাই সবার পায়ে
অনেক করেছি অপরাধ – দোষ
কষ্ট সয়ে পার করছি জীবন
উপভোগ মত্ত আধার নিকষ ।
চাইনা কিছু আর এই জীবনে
ভালোবাসার আশা গেছে মরে
জানি না কাকে রেখেছে বিধাতা
এই বিক্ষত হৃদয়ের তরে ।
ওরে বৈশাখ আসিস না আর
ভয়ংকর কালের রুপে
বেঈমানি আর দিস না অভাগারে
শত্রু শত্রু জপে ।
চাই অবশান এই হিংসার
শুধরে যাই তবে আয় ,
দুই সত্ত্বার তওবা পড়ে
বন্ধুতে মিলে যাই ।
এই জেনো হয় শেষ কবিতা
বেঈমান বৈশাখ নিয়ে -
কথা দে , আসবিনা আর
একরাশ দুঃখ বয়ে নিয়ে ।


উৎসর্গ : মাহিম আল সানি কে ( ছোট্ট বাবু কে )