তবুও হয়না শেষ রাজপথে মিছিল,
স্বাধীনতার অর্ধ শতাব্দী পরও
মানুষেরা গুলিবিদ্ধ হয়,
রক্তের স্রোত এখনও মায়ের বন্ধ দরোজার কড়া নেড়ে
বলে দেয় ক্যাম্পাসে পড়ে থাকা ছেলের
লাশের খবর।
এখনও সূর্যের আগে রাত্রির সুনসান স্তব্ধতা ভেঙ্গে
গর্জে উঠে হাতিয়ার,
সে কোনো পাক হানাদারের হাতের রাইফেল নয়,
সে আমার ভাইয়ের রক্ত পিপাসু স্টেনগান।


স্বাধীনতার অর্ধ শতাব্দী পরও
কৃষকের মুখে সেই পুরোনো কষ্টের ভাঁজে ভাঁজে
ক্ষুধা র আস্ফালন,
কিষাণীর শুষ্ক ঠোঁট জোড়া কেঁপে কেঁপে থেমে যায়
কইতে পারেনা সে তৃষ্ণার যাতনা।


স্বাধীনতার অর্ধ শতাব্দী পরও
কিশোরী ধর্ষিতা হয় অবাধে, রাস্তায়, পার্কে
স্টেশনে, স্কুলে,
সে কোনো পাক হানাদারের হাতে নয়,
কোনো মুক্তি যোদ্ধার ছেলের হাতে কিংবা ভাইয়ের হাতে,
হয়ত কোনো স্বদেশ প্রেমিকের হাতে
যে আজ আমাদের শোষণ করে!


স্বাধীনতার অর্ধ শতাব্দী পর
আজ হিসেব মিলাতে পারিনা
''আমরা ঠিক কি জন্যে স্বাধীন হয়েছিলাম''.........?