টকটকে লাল আভা সৃষ্টি করা সূর্যটাকে,
ক্ষুধার্ত নদী গ্রাস করে নিলো,
গ্রাস করে নিলো তার জলে ।
বাহু দুটোকে দিগন্তের দিকে প্রসারিত করে,
রক্তিম আভাগুলোকে মুঠিতে পুরে,
  বন্দি করতে চাচ্ছিলাম সিন্ধুকে।
   তা আর হয়ে উঠল না  
হয়ে উঠল না কারো উপস্থিতিতে।
হার মানতে হলো অন্ধকারের কাছে।


অন্ধকারকে বুঝি ভয় পায়,
ভয় পায় ওই পাখির দল !
তাইতো ওরা শব্দ করে,
ডানাদুটোকে দ্রুত নাড়িয়ে,
ছুটে চলেছে নীড়ের দিকে।
ওদের তৈরি করা শব্দগুলো
লাগছে এলোমেলো সুরের মতো।


কাছ দিয়ে চলে যায় এক নৌকো
মাঝির বুঝি অনেক তাড়া
অতিদ্রুত, কৌশলে বৈঠা চালাচ্ছে জলে।
স্রোতের প্রতিকূলে,
তবুও বেশ বেগেই এগোচ্ছে।


ওপারের জমিতে ব্যস্ত কৃষক,
সেও যাচ্ছে বাড়ি ফিরে।
সন্ধ্যের আকাশে তাকিয়ে দেখি
এক টুকরো দলছুট মেঘ উড়ে চলেছে,
উড়ে চলেছে পাহাড়ের সন্ধানে।
বেগ দেখে মনে হয়,
বুঝি পাহাড়ে মেশার তাড়া তারও মনে।


সবার কাজেই এখন তাড়া
শুধু আমার নেই।
আমি দাঁড়িয়ে একা,
ওদের গতি দেখি।
দেখি মেঘের আড়ালে,
একটা তারার উঁকি।
দেখি ব্যস্ত জীবনে,
অন্ধকারের আবশ্যকতা
অনুভবে খুঁজি কবিতার শূন্যতা ।


রচনাকালঃ ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দ