'কি চাও ?'
'ধন- সম্পদ ?'
'নাহ! '
'ক্ষমতার দণ্ড ?'
'না, চাইনে !'
'সৌন্দর্য ?'
'প্রয়োজন নেই , শুধু তার কাছে ফিরতে চাই ',
মৃদু কণ্ঠের কুণ্ঠিত আবদার ।


ঈশ্বরের দূত জানালেন , পরমাত্মা ছাড়া কেউ স্বর্গ থেকে পৃথিবীতে ফিরতে পারেনা ।
পরমাত্মার জন্য দুখিদের ঘরে ঘরে সান্ত্বনার বাণী নিয়ে পৌঁছতে হবে ।
দুঃস্থকে দেবে দয়া ,
অসহায়কে দেবে শান্তি ও স্বস্তি
আর্তির আর্তনাদের উপশম কর ।
ফুলের সুরভি দিয়ে সুরভিত কর দারিদ্রের ঘর ।


এভাবে তিনশত বছর পর তুমি লাভ করবে পরমাত্মা ।
তখনি তুমি হবে তোমার আরাধ্য প্রিয়তমের দেহাংশ;
মায়াবতী তার মায়াময় চোখ দুটি দিয়ে তাকাল ঈশ্বরের দূতের পানে,
'তিনশত বছরের কঠিন সাধনা শেষে আমি একদিন
আমার প্রিয়তমের দেহাংশের অংশ হব-
সূর্য তোমায় সাক্ষী রাখলাম...মনে মনে বলল মায়াবতী ।
বলত সূর্য , চব্বিশ ঘণ্টার একটি দিনে কতোটি বছর লুকানো থাকে ?
ক-ত শ-ত বছর ? ? ?


তিনশত বছরের অগ্নিপরীক্ষা শেষে খুশি হয়ে বর দিলেন ঈশ্বর মায়াবতীকে ।
পৃথিবীতে তোমরা সকলে মায়াবতীকে অশ্রু বলে ডাকো ,
সকলের সুখ-দুখের চির সাথী মায়াবতী ...
তার প্রিয়তমের হাসি-কান্নায় জড়িয়ে থাকে অশ্রু;
অশ্রু হয়েই প্রিয়তমকে জয় করে নিল , মায়াবতী ।