বাউন্ডুলে.....


এক তুমুল যৌবনের উঠানে দাড়িয়ে আমি ঘর খুঁজেছি তোমার আভিজাত্য প্রেমের,
চারিদিকে রিনিঝিনি নূপুরের শব্দে দুয়ারেই হারিয়ে গেছি!
কবাট খুলে ঘর দেখা হয়নি,
দেখা হয়নি চাওয়া পাওয়া, মান অভিমানের।
তোমার মাঝে স্বদেশের সৌন্দর্য উপভোগের দায় নিয়ে প্রেমিক হতে পারিনি,
হয়েছি বাউন্ডুলে!
অগনিত নির্ঘুম রাতের শেষে ভোর যখন উঁকি দিত;
আকাশীর কপালে সিঁদুর দেখে চমকে উঠতাম তোমায় ভেবে,
এক সুপ্ত অনলে!
পাওয়া না পাওয়ার সব কূল ছাপিয়ে
আকুতির সকল স্তব্দতা কাঁপিয়ে
গাঙ পাড়ে দাড়িয়ে
চুপিচুপি প্রেমের কবিতা আবৃতি করতাম চোখ সজলে,
আমি সেই সলাজ বাউন্ডুলে!


তারপর যুগে যুগে বসন্তের ঢালে ঢালে কত অবাক ভালবাসা পেয়েছি; তোমায় পাইনি,
এখন বার্ধক্যর মূল্যহীন যৌবন বাদ সাধে তোমায় নিয়ে নগ্ন কবিতার ভাষা খুঁজি বলে!
ঈশ্বরেরও বাধা নদীর নাব্যতায়,
বারণ করে জলে নামতে!
ধোপার কাপড় সিদ্ধ করার পুরনো গামলায়
প্রেমিক মনের রঙ শ্যাওলা ধরে আছে!
হৃদয় হয়েছে ইট পোড়ানো চুল্লি,
নিমিষের ছাই হয়ে যাবে যৌবনের তুলতুলে মাটি!
তুমি বরং হাড় কাঁপানো শীতে বসে সুরুজের উত্তাপ নাও,
আমি চোলাই মদে বিভোর হয়ে পৌষের উম খুঁজি ভ্রমর কইয়ো গিয়া, মেয়েবেলায়!
একাকী গুহায় সজোরে প্রেমের কবিতা আবৃতি করি চোখ সজলে,
আমি এখনো সলাজ বাউন্ডুলে!



//মুক্ত যাযাবর